সিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আব্দুল হালিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসইসির কমিশনার মো. আব্দুল হালিম।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম, সিএসইর পরিচালক সজিব হোসেন, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী, মো. সিদ্দিকুর রহমান, মো. রেজাউল ইসলাম এবং ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. গোলাম ফারুক অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন।
বিএসইসির কমিশনার মো. আব্দুল হালিম বলেন, আমাদেরকে নিজেদের কাজগুলো নিদিষ্ট করে তা অর্জন করার জন্য লক্ষ্য নিদিষ্ট করতে হবে। এই এপিআই চুক্তির আওতায় আমাদের কাজগুলো এমনভাবে ঠিক করতে হবে যেন আমারদের বাৎসরিক কর্মলক্ষ্য সফলতার সাথে অর্জন করা যায় । আমাদের আরো খেয়াল রাখতে হবে যে, সবার কাজের দক্ষতা সমান নয় তাই কাজ ব্ন্টনের জন্য আপনাদের অবশ্যই সবার কাজ করার সামর্থ্যকে বিবেচনা করতে হবে । দেশের অর্থনীতির উন্নতির জন্য পুজিঁবাজারকেও তার অবদান রাখতে হলে প্রতি পদক্ষেপে উন্নয়নকে লক্ষ্য ধরে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করতে হবে। বিএসইসি টিম তার কাজ শুরু করেছে এবং আপনাদের সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত। এ কারণে যখনই যে ধরনের সহযোগীতা যেমন-ট্রেনিং, ওয়ার্কশপ, সেমিনার বা প্রেজেন্টেশন প্রয়োজন হবে তার পূর্ণ ব্যবস্থা করা হবে এবং সিএসইকেও তার কর্মকর্তা ও স্টেকহোল্ডারদের জন্যও একইরকম ব্যবস্থা নিতে হবে । মোটকথা লক্ষ্য অর্জনের জন্য, অতীতে যা হয়েছে তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষৎ কর্মপন্থা এমনভাবে ঠিক করতে হবে যেন লক্ষ্যমাত্রা সঠিকভাবে অজিত হয় ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে সিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক আব্দুল হালিম চৌধুরী বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূলত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসাবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা দলিল। সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রবর্তন করা হয়েছে। এই চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহ, এ সকল কৌশলগত উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য গৃহীত কার্যক্রমসমূহ এবং এ সকল কার্যক্রমের ফলাফল পরিমাপের জন্য কর্ম সম্পাদন সূচক ও লক্ষ্য মাত্রাসমূহ বিধৃত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট অর্থবছর সমাপ্ত হওয়ার পর ঐ বছরের চুক্তিতে নির্ধারিত লক্ষ্য মাত্রাসমূহের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রকৃত অর্জন মূল্যায়ন করা হয়।এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত ভিশন '৪১ -"উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ" এর অংশীদার হিসেবে পুঁজিবাজারকে স্বয়ংক্রিয়, টেকসই ও উন্নত পুঁজিবাজারে রূপান্তরকরণে বিএসইসি রুপকল্প গ্রহণ করেছে এবং এর বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখেছে। কমিশনের এপিএ কার্যক্রমের চূড়ান্ত ফলাফল হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে - মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন টু জিডিপি রেশিও বৃদ্ধি করন।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম পুঁজিবাজার উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ ও এপিএ সংক্রান্ত বিষয়ে তার উপস্থানা প্রদান করেন ।
সিএসই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সমাপনী বক্তব্যে কর্মশালা আয়োজনের জন্য বিএসইসিকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, আমরা আশা করি এই কর্মশালা থেকে অর্জিত জ্ঞান ব্যবহার করে আমরা আমাদের পুঁজিবাজার, সর্বোপরি দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরে আরো বেশি অবদান রাখতে পারব।