তার মধ্যে সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র ও আরব আমিরাত থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ২১৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার, যা মোট অংকের ৪৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি মাসে বাংলাদেশ থেকে গড়ে ৫০-৬০ হাজারের মতো মানুষ বিদেশে কাজ করতে যান। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশটি যায় সৌদি আরবে। বর্তমানে ২২ লাখের মতো বাংলাদেশি অভিবাসী সৌদি আরবে আছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, বরাবরই বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব থেকে। দেশটি থেকে (জুলাই-আগস্ট) দুই মাসে এসেছে ১০৮ কোটি ৩২ লাখ ডলার বা মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ২৪ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি থেকে এসেছে ৫৬ কোটি ৩৩ লাখ ডলার এবং তৃতীয় অবস্থানে থাকা মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে এসেছে প্রায় ৫২ কোটি ডলার।
গত দুই মাসে চতুর্থ অবস্থানে থাকা মালয়েশিয়া থেকে এসেছে ৪৩ কোটি ১৯ লাখ ডলার। পঞ্চম অবস্থানে থাকা ওমান থেকে এসেছে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ডলার। যুক্তরাজ্য থেকে পাঠিয়েছে ৩৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। এছাড়া কুয়েত থেকে ৩০ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, কাতার থেকে ২২ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, ইতালি থেকে ১৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার এবং সিঙ্গাপুর থেকে ১৪ কোটি ২৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, করোনা মহামারির মধ্যেও চলতি বছরের জুন ও জুলাইয়ে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। তবে আগস্টে এসে রেমিট্যান্সের গতি কিছুটা কমে গেছে। তারপরও আগস্টে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্সে ২৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
চলতি বছরের জুলাইয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। একক মাস হিসাবে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। এর আগে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল চলতি বছরের জুনে। ওই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গেল ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট এক হাজার ৮২০ কোটি ৪৯ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ এক লাখ ৫৪ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত অর্থ দেশে আসেনি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণে রেকর্ড হয়। ওই সময়ে প্রবাসীরা এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। সেই হিসাবে আগের অর্থবছরের তুলনায় সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৭৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার বা ১৫ হাজার কোটি টাকা।