হাইডেলবার্গ সিমেন্টের লভ্যাংশ অনুমোদন

হাইডেলবার্গ সিমেন্টের লভ্যাংশ অনুমোদন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেডের ৩৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর,২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জোসে মার্সেলিনো উগার্টে এজিএমের সভাপতিত্ব করেন।

সভায় শেয়ারহোল্ডাররা তাদের বক্তব্যে কোম্পানিটির সোনালি দিন ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সেই সঙ্গে লোকসান কাটিয়ে কোম্পানিটি যেভাবে চলতি ২০২৩ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ভালো ব্যবসা করেছে, তা যেন অব্যাহত থাকে সে বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।

এদিকে চলতি ২০২৩ হিসাববছরে কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির বিক্রি হয়েছে ৫৬৮ কোটি টাকার। এর মধ্যে উৎপাদন খরচ বাদে নিট ব্যবসা হয়েছে ৮৬ কোটি টাকার বেশি। এ সময় কোম্পানির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৫৬ কোটি টাকার বেশি। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে প্রায় ৩৯ কোটি টাকা। এদিকে আগের বছর একই সময় কোম্পানির ব্যবসা হয়েছিল ২৮ কোটি টাকা, যা চলতি বছরের চেয়ে ৫৮ কোটি টাকা কম। ফলে সব খরচ বাদে কোম্পানিটির সে সময় লোকসান হয়। কিন্তু এ বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ৯ টাকা ৮২ পয়সা। সেখান থেকে আগের বছরের লোকসান ২ টাকা ৯৭ পয়সা বাদ দিলে মুনাফা দাঁড়ায় ৬ টাকা ৮৫ পয়সায়।

চলতি বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) আগের বছরের তুলনায় ৬ টাকা ৮৪ পয়সা বেশি হয়েছে। সমাপ্ত প্রান্তিকে এনএভি দাঁড়িয়েছে ৬৬ টাকা ৯১ পয়সায়, যা আগের বছরে ছিল ৬০ টাকা ৭ পয়সা। এছাড়া আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নগদ অর্থের পরিমাণও বেড়েছে সাড়ে ৭ টাকার বেশি। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি নগদ অর্থ দাঁড়ায় ২৭ টাকা ৪৯ পয়সায়, যা আগের বছরে ছিল ১৯ টাকা ৮৪ পয়সা। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৫৬ কোটি ৫০ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০ টাকা। কোম্পানিটির দীর্ঘ মেয়াদে ক্রেডিট রেটিং এএ২ এবং স্বল্প মেয়াদে এসটি-২।

হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশের মানসম্পন্ন সিমেন্টের অন্যতম বৃহৎ উৎপাদনকারী। এটি জার্মানির হাইডেলবার্গ সিমেন্ট গ্রুপের সদস্য। গ্রুপটির সিমেন্ট উৎপাদনে ১৫০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং ৫০টির বেশি দেশে কাজ করছে। বাংলাদেশের রুবি সিমেন্ট এবং স্ক্যান সিমেন্ট নামে ব্র্যান্ড রয়েছে। কোম্পানিটির বর্তমানে জাতীয় ছয়টি প্রকল্প চলমান। এগুলো হলো-কর্ণফুলী টানেল, চট্টগ্রাম মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলওয়ে প্রকল্প, সিডিএ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং কক্সবাজার রানওয়ে এক্সটেনশন।

যেগুলো শেষ হয়েছে সেগুলো হলো –নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল, পদ্মা বহুমুখী সেতু এবং সিটিজি আউটার সিটি রিং রোড।

অর্থসংবাদ/এসএম

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত