নোয়াখালী-১ আসনের সীমানা নির্ধারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানিতে বুধবার (১৪ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
আদালতে রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ২০২১ সালের সংসদীয় এলাকার সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত যে আইন আছে এই আইনটাকে আমরা চ্যালেঞ্জ করিনি বা আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলিনি। এই আইনের অধীনে নির্বাচন কমিশন ১ জুন যে সীমানাটা নির্ধারণ করেছে এই নির্ধারণের প্রক্রিয়াকে আমরা চ্যালেঞ্জ করেছি। মূল আইনটাকে আমাদের রিটে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি। এ বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করা সংবিধানে কোনো বাধা নেই।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ আইন সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা বা চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। এটা সংবিধানের ১২৫(ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে।
তিনি বলেন, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত ২০২১ সালের যে আইন হয়েছে ওই আইনেও বলা হয়েছে, সীমানা নির্ধারণ নিয়ে কোনো আদালতে মামলা করা যাবে না বা প্রশ্ন তোলা যাবে না।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, নোয়াখালী-১ আসনের যে সীমানা আছে সেখান থেকে একটি ইউনিয়নকে কর্তন করে নোয়াখালী-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই অন্তর্ভুক্ত করার সময় এলাকার ভোটার বা নাগরিকদের আপত্তি অগ্রাহ্য করা হয়েছিল।
ব্যারিস্টার খোকন অ্যাটর্নি জেনারেলের শুনানির বিরোধিতা করে বলেন, সাধারণত আদালত যখন একটা রুল ইস্যু করে, এরপর বিবাদীরা রুল শুনানিতে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। যেহেতু এখনও এ বিষয়ে রুল ইস্যু হয়নি তাই অ্যাটর্নি জেনারেল এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে পারেন না।
তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রুল ইস্যুর আগেই রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তারা যে কোনো বিষয়ে শুনানিতে অংশ নিতে পারেন। আপত্তি জানাতে পারেন। দীর্ঘদিন থেকে উচ্চ আদালতে এ প্র্যাকটিস রয়েছে।
আদালত ব্যারিস্টার খোকনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা আপনার রিট আবেদনটি নট প্রেস রিজেক্ট করে দিচ্ছি। আপনি অন্য বেঞ্চে এটা নিয়ে যেতে পারেন।
তখন ব্যারিস্টার খোকন বলেন, আমরা রিটের স্বপক্ষে আরও শুনানি করতে চাই।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ উপস্থিত ছিলেন। আদালতে ব্যারিস্টার খোকনের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/এসএম