একইভাবে চিনির দাম আগের মতোই ঊর্ধ্বমুখী। বড় শিল্প গ্রুপ চিনির বাজার নিয়ে খেলছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। অন্যদিকে সবজির দাম কোনো কারণ ছাড়াই বাড়ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে পেঁয়াজের দাম যেভাবে কমবে আশা করা হয়েছিল, পাইকারিতে দাম সেভাবেই কমেছে। তবে খুচরায় ততটা কমেনি। কারণ, প্রথম দফায় আসা পেঁয়াজের মান অতটা ভালো ছিল না। এজন্য বাজারে প্রভাব রাখতে পারেনি। এখন যে পেঁয়াজ আসছে, তা বেশ ভালোমানের। তাতে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে। কুরবানির আগে আর দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
মাস দেড়েক পেঁয়াজের দাম অস্থির থাকার পর সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়। এরপর পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দর কমতে শুরু করে। ১৫ দিন আগেও বাজারে ৯২ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় পেঁয়াজ।
ক্ষেত্র বিশেষে তা ১০০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হয়েছিল। পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। আমদানি বন্ধ থাকায় পেঁয়াজ সংকটকে পুঁজি করে এরইমধ্যে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ভোক্তার পকেট থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কেজিপ্রতি ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা বাড়িয়ে দিয়ে মোটা অঙ্কের মুনাফা হাতিয়ে নিয়েছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে ৩০ টাকার পেঁয়াজ ৯০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছিল।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত ২ দিনে পাইকারি বাজারে প্রচুর ভারতীয় পেঁয়াজ ঢুকেছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে আগের কেনা দেশি পেঁয়াজ থাকায় তারাও ভারতীয় পেঁয়াজ কিনছে না। তবে কিছু কিছু বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজ যাচ্ছে। এতে মসলাজাত পণ্যটির দাম অনেক কমেছে। সরবরাহ বাড়লে এর দাম আরও কমে আসবে।