তিনি বলেন, ‘আমাদের (পুলিশ বাহিনী) জনবল বেড়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করে আমরা দেশের উন্নতি সাধন করতে পেরেছি। এখন সাধারণ মানুষকে কোয়ালিটি সার্ভিস (ভালো মানের সেবা) দিতে পারছি। বাংলাদেশ পুলিশ স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত একটি প্রতিষ্ঠান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য দৃঢ়প্রত্যয় চিত্ত। আমরা আগামীর স্মার্ট, উন্নত ও বঙ্গবন্ধুর সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে ও স্মার্ট পুলিশ তৈরি করতে একযোগে কাজ করে যাবো।’
শনিবার (১৭ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) হেডকোয়ার্টার্সে মে মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতথিরি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপির বিভিন্ন কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে আইজিপি বলেন, ‘জনসেবা দিয়ে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। পুলিশ সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকে আমরা আস্থার জায়গা তৈরি করেছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে, তাই দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন হয়েছে। এটা ধরে রাখতে হবে। আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
ফোর্সদের উৎসাহ দিয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, ভালো অর্জন ছোট ছোট খারাপ কাজের জন্য নষ্ট হয়ে যায়। সারাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রধানমন্ত্রী জঙ্গিবাদ দমনে যে নীতি গ্রহণ করেছেন, আমরা তা অনুসরণ করে জঙ্গিবাদ দমন করতে পেরেছি। আমরা জঙ্গিবাদ দমনে আমাদের সক্ষমতা প্রমাণ করতে পেরেছি।
মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা।
অর্থসংবাদ/এসএম