সোমবার (১৯ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ১৮২ দিন মেয়াদি সিক্স মানথ মোভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল বা স্মার্ট এর গড় সুদহার হবে ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ। এর সঙ্গে আরও ৩ শতাংশ তদারকি মাশুল যুক্ত হবে। এতে ব্যাংক ঋণের সুদহার হবে ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ। সিএমএসএমই ও ভোক্তা ঋণের আওতাধীন ব্যক্তিগত ঋণ ও গাড়ি ক্রয় ঋণের সঙ্গে আরও ১ শতাংশ তদারকি মাশুল যুক্ত হয়ে সুদহার হবে ১১ দশমিক ১৩ শতাংশ।
আর কৃষি ও পল্লি ঋণের সুদের হার হবে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। এ ঋণের সুদহার ট্রেজারি বিলের গড় সুদের চেয়ে ২ শতাংশ বেশি। বর্তমানে কৃষিতে ৮ শতাংশ আর অন্য ঋণে সুদের হার ৯ শতাংশ। তবে ক্রেডিট কার্ডে সুদহার আগের মতেই থাকবে। বর্তমানে ক্রেডিট কার্ডে সুদহার ২০ শতাংশ, সেটিই বহাল থাকবে।
যে মাসের সুদহার নির্ধারণ করা হবে তার অব্যবহিত পূর্ববর্তী মাসের স্মার্টকে ভিত্তি ধরে সুদহার নির্ধারণ করতে হবে। যেমন মার্চ মাসের সুদহার নির্ধারণে ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য নির্ধারিত স্মার্টকে বিবেচনায় নিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সুদ আরোপ করার পর ৬ মাসের মধ্যে সেটি পরিবর্তন করা যাবে না। এ সময়ে সুদহার বাড়লেও গ্রাহকের সুদ বাড়াতে পারবে না ব্যাংক। একইভাবে সুদহার কমলেও গ্রাহকের সুদ কমবে না।
আবার মেয়াদের আগে ঋণ সমন্বয় করতে চাইলে সিএমএসএমই ও ভোক্তা ঋণের আওতাধীন ব্যক্তিগত কিংবা গাড়ি ক্রয় ঋণের ক্ষেত্রে এক শতাংশ তদারকি মাশুল আনুপাতিক হারে আদায় করতে হবে। এর ফলে বছরের মাঝখানে কেউ ঋণ পরিশোধ করতে চাইলে তার ঋণের ওপর দশমিক ৫০ শতাংশ হারে তদারকি মাশুল গুনতে হবে। ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোকেও একই নিয়মে মুনাফা হিসাব করতে হবে।
এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিলে ব্যাংক উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে এক অঙ্ক বা ৯ শতাংশ সুদহার কার্যকরের উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরে ৯ শতাংশ সুদ বেঁধে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।