বিসিক এলাকার জমে থাকা বিভিন্ন আবর্জনা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে, পরিষ্কার করা হচ্ছে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন। এছাড়াও অতিরিক্ত বর্জ্য ধারণের জন্য রাখা হয়েছে নির্দিষ্ট স্থান। বৈদ্যুতিক ত্রুটি আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এছাড়া ঈদে বাড়তি চাপের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রস্তুত রাখা হয়েছে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি)।
কারখানার কর্মকর্তা বলেন, কোরবানির ঈদ এলেই কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ঈদের দিন পূর্ণ যৌবন ফিরে পায় কারখানাগুলো। কাঁচা চামড়া সংগ্রহের পর তা সংরক্ষণে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কর্মীরা। এজন্য বাড়তি লবণ ও নানা রাসায়নিক দ্রব্য মজুত রাখতে হয়। পাশাপাশি এবার অতিরিক্ত শ্রমিকও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তবে তারা বলেন, এবার লবণ ও রাসায়নিক দ্রব্যের দাম বেশি হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছেন কারখানার মালিকরা। গতবারের চেয়ে এবার শ্রমিকদের মজুরিও বেশি গুণতে হচ্ছে।
প্রগতি ট্যানারির মালিক বলেন, বাজারের চাহিদা অনুযায়ীই ট্যানারি মালিকরা চামড়া ক্রয় করবেন। তবে লবণ আর বিদ্যুৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। এবার অত্যধিক গরম হলে চামড়া সংরক্ষণেও নিতে হবে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। তাই পশু কোরবানির পরপরই চামড়ায় নিজ উদ্যোগে লবণ ছিটাতে সকলকে অনুরোধ করেন তিনি। তা না হলে চামড়ার গুণগত মান ঠিক থাকা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থাকবে।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত উল্ল্যাহ বলেন, এবার চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক কোটি পিছ। বারবার সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে, দেশের সম্পদ বিবেচনা করে চামড়া কেনার পরপরই যেন লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হয় এবং যত দ্রুত সম্ভব সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চামড়াগুলো ট্যানারিতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ নিয়েও চিন্তায় রয়েছেন কারখানার মালিকরা। চামড়া সংরক্ষণের জন্য প্রাথমিক ধাপে বিদ্যুৎ না থাকলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। তাই চাহিদা ও গুরুত্ব বিবেচনায় বিসিক এলাকায় বিদ্যুৎ বণ্টন করার অনুরোধ জানান তিনি।
চামড়া শিল্পনগরীর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান রিজোয়ান বলেন, ১৬২টি ট্যানারির মধ্যে ১৪২টি প্রস্তুতি রয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহসহ সব সুবিধা দিতে এরইমধ্যে কাজ শেষ করা হয়েছে। ড্রেন সংস্কার আর ট্রাকের বিশৃঙ্খলা এড়াতে এবার নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু পদক্ষেপ।
ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাসেল মোল্লা বলেন, পুরো বিসিক এলাকায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কর্মী ও কারখানার নিরাপত্তা দেওয়া ছাড়াও চামড়া বহনকারী পরিবহনের যেন জটলা না বাঁধে সেদিকেও নজর রাখা হবে।