বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট কৃষির ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে বলা হয়, উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, উৎপাদন পরবর্তী অপচয় রোধ, শ্রমিক সংকট মোকাবেলা, সার, বালাইনাশকের পরিমিত ব্যবহার এবং সেচ দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যও স্মার্ট কৃষির বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, সারা বিশ্বে বাংলাদেশের কৃষিপণ্য রফতানির জন্য আধুনিক ল্যাব, প্যাকিং হাউজসহ যত রকমের অবকাঠামো প্রয়োজন আগামী ২ বছরের মধ্যে তা তৈরি হয়ে যাবে। এক দেশ থেকে আরেক দেশে রফতানি করার যে ন্যূনতম সক্ষমতা সেটা আমাদের এখনো গড়ে ওঠেনি। আমাদের উৎপাদন ভালো, এটা সবাই বলে। কিন্তু রফতানির ক্ষেত্রে আমাদের দৈন্যও রয়েছে। এসব নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করি আগামী দুই বছরের মধ্যে অন্যান্য দেশে পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা গড়ে তুলতে পারব।
কৃষি সচিব বলেন, তরুণরা কৃষিতে আসছে এটা ভালো লক্ষণ। কৃষির প্রতি সবার দরদ আছে এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সুযোগ। আমরা দুই কোটি মানুষকে স্মার্ট কার্ড দেব। স্মার্ট ফার্মিংয়ের জন্য বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে চুক্তির কথাও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক সুরজিত সাহা রায়। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজসহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. আহসান উল্লাহ। তিনি বলেন, দেশে কৃষিপণ্যের বিপণন ব্যবস্থায় স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার খুবই জরুরি। ব্লক চেইন ও বিভিন্ন রকমের অ্যাপস ব্যবহার করতে হবে। তাহলে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে কমে যাবে এবং কৃষকরা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবেন।