ব্যবসায়ীরা বলছেন, ওজন স্কেলের কারণে চট্টগ্রামে ১৩ টন থেকে সাড়ে ১৩ টনের বেশি পণ্য আনা নেওয়া যায় না। এ কারণে পণ্যের দাম বাড়াতে হয়। তা সত্বেও ব্যবসায়ীরা যতটুকু সম্ভব ছাড় দিয়ে পণ্য বিক্রি করেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, গত ৪ জুন পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবার (২৩ জুন) কেজি প্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা থেকে ৩১ টাকায়। আর বর্তমানে খুচরায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। যেটা ৪ জুন পর্যন্ত খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে কেজিপ্রতি বিক্রি ছিল ৯০ থেকে ৯২ টাকায়। আর খুচরায় কেজি প্রতি ১০০ টাকার বেশিতে বেক্রি হয়েছে।
ওই দিনই কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে ৫ জুন থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরের দিন থেকে আমদানির ভারতীয় পেঁয়াজ চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে আসতে থাকে। তারপর থেকেই পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করে। সবশেষে পোঁজের দাম কেজিপ্রতি ২৮ থেকে ৩১ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি কমে এসেছে ৬০ থেকে ৬২ টাকার মধ্যে।
চকবাজার কাঁচা বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আব্দুল মালেক বলেন, কিছুদিন আগেও পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে ৬০ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে আসায় সে পেঁয়াজ কিনছি ৩৫ টাকায়।
চাকতাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম বলেন, শুক্রবার খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা থেকে ৩২ টাকা পর্যন্ত। কিছু পেঁয়াজ ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত যানবাহনের ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম এর থেকে আর কমানো যাচ্ছে না।
অর্থসংবাদ/এসইউ