বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকালে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া সই করা এক বিবৃতিতে এ আলটিমেটাম দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউজিসির প্রস্তাবিত এ নীতিমালা আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে সরকার ও শিক্ষক সম্প্রদায়কে পরস্পর বিপরীতমুখী অবস্থানে দাঁড় করানোর অপতৎপরতা হিসেবে প্রতীয়মান হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে জীবনযাত্রার মানের সামঞ্জস্য রাখতে সবাই যখন বেতনভাতা বৃদ্ধির জন্য অধীর আগ্রহে দিন গুনছে, তখনই আর্থিক সুবিধা আরও কমিয়ে এমন অনুপযোগী ও শিক্ষকদের স্বার্থবিরোধী অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা পাস করে ইউজিসি শিক্ষক সমাজের সঙ্গে বিদ্রুপাত্মক আচরণ করেছে। শিক্ষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিদের রাখা হয়নি, যা অনভিপ্রেত।’
বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বায়ত্তশাসন দিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি যুগান্তকারী সূচনা করেছিলেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে ইউজিসির আচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ধারণার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে যখন দেশের সার্বিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে, ঠিক এ সময়ে এ ধরনের অনুপযোগী ও অযৌক্তিক নীতিমালা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিষয়টি জাতীয় নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অস্থিতিশীল করে তোলার ষড়যন্ত্র কি না তা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন খতিয়ে দেখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে।’
এরই মধ্যে সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ অগ্রহণযোগ্য নীতিমালার ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষার পরিবেশ সাবলীল রাখতে শিক্ষকদের মর্যাদা সমুন্নত রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এই জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন সর্বসম্মতিক্রমে এ নীতিমালা প্রত্যাখ্যান করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন বদ্ধপরিকর। শিক্ষকদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে এ বিতর্কিত অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা ও হিসাব ম্যানুয়াল বাতিল করার জন্য ইউজিসিকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
অন্যথায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতৃত্বে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একযোগে ইউজিসির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে কঠোর অবস্থানে যাবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসইউ