বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ‘বিবিএফ এসএমই ডিজিটাল সামিট-২০২০’ শীর্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরার সময় এ তথ্য জানান তিনি।
সেলিম আরএফ হোসেন বলেন, ‘এসএমই খাতে প্রায় ১০ বছর ধরে কাজ করছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানের কাছ থেকে আমি এ খাতের অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম। ব্র্যাকের প্রয়াত চেয়ারম্যান ফজলে হাসান আবেদ ২০০১ সালে ব্র্যাক ব্যাংক চালু করেন। ব্র্যাক ব্যাংকে আমি পাঁচ বছর আগে যোগ দিই। ওই সময় আমি স্যারকে জিজ্ঞাসা করি, ব্র্যাক ব্যাংক আপনি চালু করেছিলেন কেন? উনি তখন হেসে হেসে আমাকে বললেন, আমার লক্ষ আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ ‘
‘২০ থেকে ২৫ বছর আগে এসএমই কাকে বলে, তা অন্তত ব্যাংকিং খাতের সকলে জানতেন না। ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে ফজলে হোসেন আবেদ এসএমই সেগমেন্টকে একটা আলাদা ফোকাসে আনলেন। ২০০৯/২০১০ সালের দিকে ড. আতিউর রহমান যখন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হলেন, তিনিও এসএমই এসপিডি বিভাগ চালু করেন। এটাকে সারা ব্যাংকিং সেক্টরে ফোকাস এবং ইনভেস্টমেন্ট দেন। ২০০১ সাল থেকে ব্র্যাক এসপিডি সেগমেন্ট খাতে ফোকাস করে আসছে। ১৯ বছর পর আজ যদি ব্র্যাক ব্যাংকের কাস্টমারের পোর্টফলিও দেখি, এর শতকরা প্রায় ৪৭ শতাংশ এসএমই খাতে বিনিয়োগ করা।’
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে ইসলামী ব্যাংক মিডিয়াম সেগমেন্টে বা লার্জার কমার্শিয়াল সেগমেন্টে পাইওনিয়ার এবং তারা মার্কেট লিডার। মোট এসএমই সেক্টরের ১০ শতাংশ ইজ রেপ্রেজেন্টেড বাই ইসলামী ব্যাংক। তাদের ফোকাস লার্জার কমার্শিয়াল ব্যবসায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সেলিম আরএফ হোসেন বলেন, ‘প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার সিএমএস কাস্টমারকে আমরা ঋণ দিয়ে থাকি। প্রায় ১৪ থেকে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা এ ঋণ। গত ১৯ বছর ধরে দিয়ে আসছি।’
অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম, বেসিসের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারহানা এ রহমান, এসবিকে টেক ভেঞ্চার্সের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির, আইআইবিএমের নির্বাহী পরিচালক বোরহান উদ্দিন, বিবিএফ চেয়ারম্যান ও সিইও অধ্যাপক মাসুদ এ খানসহ অনেকে।