এতে বলা হয়েছে, বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টা ২০ মিনিটে আবু বকর নামের এক ব্যক্তি শাখা ব্যবস্থাপকের রুমে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণের হুমকি দেন। ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মোল্লা ফরিদ আহমেদ উপস্থিত বুদ্ধিতে দুষ্কৃতিকারীকে অনভিপ্রেত কিছু করার সুযোগ না দিয়ে, কক্ষ থেকে দ্রুত বের হয়ে শাখার সবাইকে অবহিত করেন। তিনি শাখার গেট বন্ধ করে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় পুলিশকে ফোন করেন। শাখার গেট বন্ধ করে দ্রুত পুলিশকে ফোন করায় দুষ্কৃতিকারী পালাতে পারেনি এবং তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করা সম্ভব হয়েছে। ফোন করার পাঁচ মিনিটের মধ্যে গাজীপুর মেট্রোপলিটান পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুষ্কৃতিকারীকে আটক করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে প্রথমে শাখা ও মার্কেটের লোকজনদের নিরাপত্তার স্বার্থে সন্দেহজনক ব্যাগটি আলাদা করে ফেলেন। পরবর্তীতে ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের ১১ সদস্যের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে নিরাপত্তার সাথে বোমা নিষ্ক্রিয় করে। গাজীপুরে মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মো. আজাদ মিয়াসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং পরিস্থিতি তদারকি করেন।
পুলিশ সদস্যদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি এবং জানমালের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ওই ব্যক্তি এখন গাজীপুরের বাসন থানার হেফাজতে আছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আবু বকরের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ থানার বিশারীঘাটা এলাকায়। তিনি গাজীপুরের বোর্ডবাজারের বটতলা এলাকায় বসবাস করতেন।
পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং পুরো ঘটনাটি তদন্ত করছে। প্রাইম ব্যাংক ঘটনার তদন্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে। ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রাইম ব্যাংক দেশের সব শাখায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করেছে।