উদ্বোধনের পর থেকে গত ২৫ বছরে বঙ্গবন্ধু সেতুতে সাত হাজার ৮৭৯ কোটি ২৯ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। ১৯৯৮ সালের জুন থেকে গত জুন পর্যন্ত যানবাহন পারাপার থেকে এ টোল আদায় করা হয়।
আদায়কৃত টোলের পরিমাণ সেতু নির্মাণে বিনিয়োগের প্রায় দ্বিগুণ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল।
সেতুর নির্মাণ ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সেতু নির্মাণকালে ২৫ বছরে বিনিয়োগের টাকা তুলে আনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের ৭ বছর আগেই ব্যয় উঠে আসে।
১৯৯৮ সালের ২৩ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন করেন। এরপর যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।
প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে সেতু থেকে ৬১ কোটি ২৭ লাখ টাকা টোল আদায় হয়। আর সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে আদায় হয় ৬৮০ কোটি ৭৫ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ টাকা।
তিনি আরো জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু-টাঙ্গাইল ও ঢাকা মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের ২৩টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন ১৮-২০ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের ছুটিতে পরিবহনের সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
১৯৯৪ সালে যমুনা নদীর ওপর এ সেতুর নির্মাণ শুরু হয়। সেতুটি যমুনা নদীর পূর্ব তীরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী ও ভূঞাপুর উপজেলা এবং পশ্চিম তীরে সিরাজগঞ্জ জেলাকে সংযুক্ত করেছে।
অর্থসংবাদ/বাসস/এসএম