সংস্থাটির মুখপাত্র মকবুল হোসাইন জানান, আজ সকালের দিকে ঝটিকা অভিযানে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি ভবন পরিদর্শন করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। এসময় জাহাঙ্গীর টাওয়ার, পেট্রোবাংলা, যমুনা অয়েলের নির্মাণাধীন ভবন, টিসিবি ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশনের বেজমেন্টে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মেয়র আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ। এছাড়া ওয়াসা ভবনসহ আরও কয়েকটি ভবনের বেজমেন্ট পরিদর্শন করেন মেয়র।
কারওয়ান বাজার ছাড়াও ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলে একযোগে অভিযান পরিচালনা করেছেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের অভিযানে ১১টি মামলায় ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়াও তিনটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
অভিযানে অংশ নিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক ও অত্যন্ত হতাশার। মন্ত্রণালয়ে আমাদের মিটিং হয়, আন্তঃমন্ত্রণালয় মিটিং হয়। একাধিকবার মিটিং হয়েছে। আমরা সবাই কিন্তু বলেছি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখব, দায়িত্ব পালন করব। সবাই মুখে বলে কিন্তু বাস্তবে কেউ দায়িত্ব পালন করছে না।
তিনি বলেন, বাস্তবে যদি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সবাই দায়িত্ব পালন করত তাহলে আজ এই সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যেত না। যে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে তা হয়ত করতে হতো না। তাদের দায়িত্ব ছিল এখানে ওষুধ ছিটিয়ে দেওয়া কিংবা একটু ব্লিচিং পাউডার ও একটু কেরোসিন ব্যবহার করা।
মেয়র বলেন, সামনে ঢাকার পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হবে বলে শঙ্কা রয়েছে। আমরা গতকাল (রোববার) প্রায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছি। তার আগের দিন জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ টাকা। অভিযান চলছে, চলবে। আমার অনুরোধ আপনারা জরিমানা না দিয়ে নিজ নিজ অঙ্গন পরিষ্কার রাখুন। আমরা যেখানেই এডিস মশার লার্ভা পাব সেখানেই জরিমানা করব।
অভিযানে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।