ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চারদিন আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটকের সামনে থেকে গ্যাসের চুলা জ্বালানোর একটি অটো গ্যাসলাইট একশো টাকা দিয়ে কেনেন জবির কর্মচারী ইব্রাহিম। বাসায় যাওয়ার পর অটো গ্যাসলাইটটি কাজ না করায় সেদিনই তা ফিরিয়ে দিয়ে জিনিসের দাম ফেরত চান ইব্রাহিম শেখ। জিনিসটা রেখে দিয়ে পরেরদিন টাকা ফেরত দেয়ার কথা জানান অভিযুক্ত শাহীন। কিন্তু কয়েকদিন ধরে টাকা চাইলেও তা না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে হকার শাহীন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে টাকা ফেরত চাইলে ইব্রাহিম শেখের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে শাহীন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী ইব্রাহিমকে বটি দিয়ে কোপাতে এগিয়ে আসে শাহীন। তখন উপস্থিত লোকজন বটি কেড়ে নিলে লাঠি দিয়ে ইব্রাহিমের ওপর হামলা করে সে। এরপর ধস্তাধস্তি ও লাঠিপেটার একপর্যায়ে ইব্রাহিম শেখের হাতের কব্জির হাড় ভেঙে যায়।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা হামলাকারী শাহীনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে সূত্রাপুর থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে আহত ইব্রাহিম শেখ বলেন, আমি একটা অটো গ্যাসলাইট কিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটকের সামনের এক হকার থেকে। বাসায় গিয়ে দেখতে পাই যে, এটায় আগুন জ্বলেনা৷ তখনই আমি সেটা ফেরত দিয়ে আসি। জিনিসটা ফেরতও রাখে। কিন্তু টাকা ফেরত দিতে চেয়েও ফেরত না দিয়ে তালবাহানা করে। আজ টাকা ফেরত আনতে গেলে হকার শাহীন আমার ওপর হামলা করে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, অভিযুক্তকে ধরে আনা হয়েছিল। আমরা সূত্রাপুর থানা পুলিশের নিকট তাকে সোপর্দ করেছি। যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমরা নির্দেশ দিয়েছি।
সূত্রাপুর থানার এসআই রুহুল আমিন বলেন, আমি অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে এসেছি। দু'পক্ষকে নিয়ে ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবো।