স্মার্টফোন ব্যবহার করেন দেশের ৬৩ শতাংশ মানুষ

স্মার্টফোন ব্যবহার করেন দেশের ৬৩ শতাংশ মানুষ

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত ১০ বছরে সাত গুণ বেড়েছে। ২০১৩ সালে যেখানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। তা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক ৬ শতাংশ। দেশে বর্তমানে পরিবার পর্যায়ে মোবাইল ফোনে ব্যবহারের সুবিধা ভোগ করে ৯৭ দশমিক ৯ শতাংশ। এছাড়া ইন্টারনেট ৪৩ দশমিক ৬ শতাংশ, স্মার্টফোন ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ, রেডিও ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ, টেলিভিশন ৬২ দশমিক ২ শতাংশ এবং কম্পিউটার ৮ দশমিক ৯ শতাংশ, ল্যান্ডফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ পরিবারের লোকজন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ব্যবহার জরিপ-২০২৩ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।


সোমবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত পরিসংখ্যান ভবনে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক উত্তম কুমার। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক সৈয়দা মারুফা সাকি।


অনুষ্ঠানে জানানো হয়, খানা পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে ৫৯ দশমিক শূন্য শতাংশ। সবচেয়ে কম বরিশাল ও রংপুর বিভাগে ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ। যেখানে জাতীয় পর্যায়ে ৪৩ দশমিক ৬ শতাংশ। খানা পর্যায়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী সবচেয়ে বেশি খুলনা বিভাগে ৯৯ দশমিক ২ শতাংশ, সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে ৯২ দশমিক ৪ শতাংশ। কম্পিউটার ব্যবহারকারী সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ। সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ।


ব্যক্তি পর্যায়ের তথ্য দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ, মোবাইল ফোন ৯০ দশমিক ৫ শতাংশ, কম্পিউটার ৭ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নিজস্ব মোবাইল ফোন আছে এমন ব্যক্তিদের হার ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ।


২০১৩, ২০২২, ও ২০২৩ সালের ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার ২০১৩ সালে ছিল ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। যেটা বেড়ে ২০২২ সালে ৩৮ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে এবং ২০২৩ সালে ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে। মোবাইল ব্যবহারকারীর হার ২০১৩ সালে ছিল ৮১ দশমিক ৭ শতাংশ। যেটা বেড়ে ২০২২ সালে ৮৯ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২৩ সালে ৯০ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে। কম্পিউটার ব্যবহারকারীর হার ২০১৩ সালে ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। যেটা বেড়ে ২০২২ সালে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে। ২০২৩ সালে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে।


অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশের মোবাইলের ব্যবহারকারী বেড়েছে। তবে সিলেটে টেলিভিশন ব্যবহারকারী কমেছে এবং রংপুরে বেড়েছে এটা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। যদিও সিলেটে দামি মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে যা রংপুরে কম। তিনি বলেন, ধনীরা আধুনিক প্রযুক্তির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।


বিবিএসের মহাপরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, এগুলোর ব্যবহার যে বেড়েছে এগুলো সবাই জানি। তবে, এ জরিপ হচ্ছে একটি ডকুমেন্ট। জরিপে উঠে এসেছে ল্যান্ডফোন ব্যবহারকারী কমে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশে নেমেছে। এতে সরকারের এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।


অর্থসংবাদ/এসএম

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

দেশে মোবাইল এক্সেসরিজ ব্র্যান্ড বিও'র সকল পণ্য নিয়ে এলো সোর্স এজ
২১ সেপ্টেম্বর বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ
বছরে ১৬ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স হারাচ্ছে বাংলাদেশ: না'লা
হ্যাকারদের নজরে এবার হোয়াটসঅ্যাপ, সুরক্ষিত থাকবেন যেভাবে
বাড়ির বিদ্যুৎ খরচ কমাতে যা করবেন
স্মার্টফোনে আড়িপাতা আছে কিনা বুঝবেন যেভাবে
৬৮ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করলো হোয়াটসঅ্যাপ
আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ
এআই উন্নয়নে ২০০ কোটি ডলারের সম্পদ বিক্রি করবে মেটা
ভোক্তা অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তিতে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে ভোক্তা অধিদপ্তরের সভা