আজ রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকার প্রধান একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুদান গ্রহণ করেন মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস। এদিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে অনুদান দাতাদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা যাতে ব্যবসা বাণিজ্য চালাতে পারেন, তার জন্য যা করণীয় সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়েছি। এই প্রণোদনার ফলে আমাদের দেশের ব্যবসা বাণিজ্য সচল থাকা সম্ভব হচ্ছে। তাছাড়া এবারের করোনাভাইরাসে সবাই খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে, আমি কারো বাদ দিতে পারব না।
তিনি বলেন, প্রাইভেট ব্যাংকটা দেয়ার সিদ্ধান্ত আমরাই নিয়েছিলাম। আমরাই সব থেকে বেশি প্রাইভেট ব্যাংক দিয়েছি। কারণ গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত মানুষ যাতে ব্যাংকিং ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়, তার ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি। এমনকি কৃষককে ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা নিয়েছি। অর্থাৎ মানুষকে অভ্যস্ত করা ব্যাংকের মাধ্যমে যেন আর্থিক লেনদেন করতে পারে, সে পদক্ষেপও নিয়েছি। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যাংকের আইন যা কিছু আমরা করি আপনারা যখন আনেন যেটা যুক্তি সঙ্গত সেটা বিবেচনা করে দেখি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যত বেশি প্রাইভেট ব্যাংক দিয়েছি, এতে ব্যাপক হারে কর্মসংস্থান হয়েছে। অনেক মানুষের চাকরি হয়েছে। এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যও সম্প্রসারিত হয়েছে। সেখানে ব্যাংকগুলো যাতে ভালোভাবে চলে আমরা সেটাই চাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহামারি করোনা বিস্তার রোধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। করোনার সময় সবাই খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। যার ফলে আমরা বিস্তার রোধ করতে সক্ষম হয়েছি। তবে সামনে শীতে পরিস্থিতি আরেকটু হয়তো খারাপের দিকে যেতে পারে, তবুও আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে।