প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, এভিয়ান ভাইরাসে আক্রান্ত হলো পাখিগুলোর জীবনাবসান হয়েছে। কিন্তু বেশ কয়েকটি পেঙ্গুইনকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই ভাইরাসের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
মৃত অবস্থায় পাওয়া ম্যাগলানিক প্রজাতির এ পেঙ্গুইনগুলোর বেশিরভাগেরই বয়স কম। পাখিগুলোর মৃত্যু হয়েছে আটলান্টিক মহাসাগরে এবং এগুলো বাতাস ও ঢেউয়ের ধাক্কায় উরুগুয়ের উপকূলে এসেছে।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের প্রাণীজগত বিভাগের প্রধান কারম্যান লিজাগোয়েন জানিয়েছেন এসব তথ্য।
এই প্রাণী কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ‘এগুলোর পানিতে মৃত্যু হয়েছে। ভেসে আসা পাখিগুলোর ৯০ শতাংশের বয়স কম। এগুলোর মধ্যে কোনো চর্বির মজুদ ছিল না এবং পেট খালি ছিল। এভিয়ান ভাইরাসের যেসব সেম্পল নেওয়া হয়েছে তার সবগুলোই নেগেটিভ এসেছে।’
ম্যাগলানিক পেঙ্গুইন বসবাস করে আর্জেন্টিনার দক্ষিণাঞ্চলে। দক্ষিণ গোলার্ধের শীতের সময় এ জাতের পাখি খাবার ও উষ্ণ পানির খোঁজে উত্তর দিকে চলে যায়। কিছু কিছু ব্রাজিলের এসপিরিতো সান্তো প্রদেশের উপকূল পর্যন্ত যায়।
প্রাণী কর্মকর্তা কারম্যান লিজাগোয়েন বলেছেন, ‘দেশান্তরের সময় কিছু পাখি মারা যায়, এটি স্বাভাবিক, তবে এত বেশি মারা যাওয়া অস্বাভাবিক। গত বছরও ব্রাজিলে এই একই ঘটনা ঘটেছিল।’
পরিবেশবিদরা বলছেন, অতিরিক্ত ও অবৈধ মাছ শিকারের কারণে ম্যাগলানিক পেঙ্গুইনের মৃত্যুর হার বেড়েছে। কারণ মানুষ অতিরিক্ত মৎস শিকারের কারণে এ পাখিগুলো খাবারের সংকটে পড়ে যাচ্ছে।