এর আগে, চীনের বিওয়াইডি হায়দরাবাদভিত্তিক মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে যৌথভাবে কারখানা করতে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। এবার ইকোনমিক টাইমস জানাল, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সেই প্রস্তাব বাতিল করেছে।
ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় বিওয়াইডির এই প্রস্তাবের বিষয়ে দেশটির অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মতামত জানতে চেয়েছিল। কিন্তু ওই সব মন্ত্রণালয় নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে চীনের কোম্পানি বিওয়াইডির বিনিয়োগ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। তার ভিত্তিতে এই প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়।
এদিকে কারখানা করতে না পারলেও ভারতে কয়েক বছর ধরেই বৈদ্যুতিক গাড়ি সংযোজন করছে বিওয়াইডি। গত বছর একটি মডেলের ৭০০টি গাড়ি বিক্রির পর তারা আরও উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা হাতে নেয়। এই পরিকল্পনা হলো, বছরে ১৫ হাজার গাড়ি বিক্রি করা।
বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালে ভারতের মোট গাড়ি বাজারের ৩০ শতাংশ হবে বৈদ্যুতিক। পরিবেশদূষণ রোধে দেশটি বৈদ্যুতিক গাড়ির দিকে ঝুঁকছে। বিওয়াইডির লক্ষ্য, ভারতের এই বিশাল বাজারে ৪০ শতাংশ হিস্যা নিশ্চিত করা। মূলত সে জন্যই তারা ভারতে কারখানা করতে চেয়েছিল।
তবে বিওয়াইডির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও ইলন মাস্কের টেসলার সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে ভারত। বছরে পাঁচ লাখ গাড়ি উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন একটি কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছে তারা। তবে এ কারখানায় যেসব গাড়ি উৎপাদিত হবে, তার ন্যূনতম দাম হবে ২০ লাখ রুপি।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টেসলা অনেক আগেই চীনে কারখানা স্থাপন করেছে। সেখানে তারা বিপুল পরিমাণে গাড়ি উৎপাদন করছে। কিন্তু এত দিন নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার কারণে টেসলা ভারতে কারখানা করেনি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টেসলার প্রধান ইলন মাস্কের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের পরই টেসলা ভারতের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠে।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার এখনো অনেক ছোট। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বেশি দাম ও চার্জিং অবকাঠামোর অভাবে ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার অতটা বাড়ছে না, তবে ভারত সরকার এসব বাধা দূর করে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার দ্রুত সম্প্রসারণ করতে চায়। সে কারণে কোম্পানিগুলোও ভারতের বাজারে আসতে চাইছে।