মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে। অস্থিতিশীল পেঁয়াজের বাজারকে স্থিতিশীল করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে এনবিআর।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে । পেঁয়াজ আংশিক আমদানি নির্ভর একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। নিকট অতীতে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়েছে এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই সংকটটি কঠিন আকার ধারণ করে। পেঁয়াজের মূল্য সাম্প্রতিক সময়ে অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের কারণে বাজারে এর মূল্য বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, দেশি পেঁয়াজে চাষিদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ, পেঁয়াজ চাষে উৎসাহ প্রদান এবং আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাসের লক্ষ্যে পেঁয়াজ আমদানিতে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করা হয়। বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পেঁয়াজের অনুৎপাদনকালীন সময় হিসেবে পরিচিত মার্চ ২০২১ পর্যন্ত সময়ে পেঁয়াজের ওপর আরোপিত ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর অনলাইনে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন। তিনি সেদিন বলেছিলেন, যদি রাজস্ব খাতে কোনো কিছু করার থাকে, অবশ্যই ছাড় দেয়া হবে। অতীতেও বিবেচনা করা হয়েছে, এখনও বিবেচনা করা হবে।