গত সোমবার (৩১ জুলাই) চার্টার্ড লাইফের ইস্যু ম্যানেজার এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়, চার্টার্ড লাইফের প্রসপেক্টাসের ৩৫৭ নম্বর পৃষ্ঠায় ২০২২ সালের জন্য ডিভিডেন্ড পলিসি উল্লেখ করা হয়েছে। প্রসপেক্টাস অনুযায়ী ২০২২ সালে চার্টার্ড লাইফ উদ্যোক্তাদের জন্য ২ শতাংশ এবং শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার কথা। তবে আমরা জানতে পেরেছি, চার্টার্ড লাইফ ২০২২ সালে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যা বিএসইসির জারি করা আপনার কোম্পানির (চার্টার্ড লাইফ) আইপিওর জন্য সম্মতি পত্রের শর্তাবলী এবং যাচাইকৃত প্রসপেক্টাসে উল্লিখিত সংশ্লিষ্ট লভ্যাংশ পলিসির সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। আইপিও অনুমোদনের সময় এবং পরবর্তীতে কমিশন কর্তৃক কোম্পানির উপর আরোপিত শর্ত মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
চিঠিতে বলা হয়, চার্টার্ড লাইফের আইপিওর ইস্যু ব্যবস্থাপক হিসাবে আমরা আপনাকে এই বিষয়ে অতিদ্রুত সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটি পাঁচ বছরের লভ্যাংশ সংক্রান্ত পরিকল্পনা উল্লেখ করে বিএসইসিতে প্রসপেক্টাস জমা দিয়েছিল। প্রসপেক্টাস অনুযায়ী, ২০২৩ সালে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ, ২০২৪ ও ২০২৫ সালে ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং ২০২৬ সালে ১১ দশমিক ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার কথা চার্টার্ড লাইফের। তবে কোম্পানিটি তালিকাভুক্তির পর প্রথম বছরেই নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি।
এদিকে চার্টার্ড লাইফের লভ্যাংশ ঘোষণার পর বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। লভ্যাংশ ঘোষণার পরদিনই চার্টার্ড লাইফের শেয়ারদর একদিনেই ১০ দশমিক ২৬ শতাংশ কমেছিল। আজ বুধবারও কোম্পানিটি ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদরের পতন হয়েছে। এছাড়াও বিমা খাতের ৫৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এদিন ৪০টিরই শেয়ারদর কমেছে।