জোটটির সদস্য দেশগুলোর সেনাপ্রধানরা তিনদিন নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় বৈঠক করেন। এ সময় তারা ঠিক করেন কীভাবে ও কোথায় প্রথম হামলা চালানো হবে। তবে হামলার আগে নাইজারকে এ ব্যাপারে অবহিত করা হবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইকোয়াসের রাজনৈতিক বিষয়াবলী, শান্তি ও নিরাপত্তাবিষয়ক কমিশনার আব্দেল-ফাতাও মুসাহ শুক্রবার (৪ আগস্ট) বলেছেন, এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন রাষ্ট্রীয় প্রধানরা।
তিনি আরও বলেছেন, ‘সামরিক অভিযান চালানো হলে কী কী করা হবে তা এ বৈঠকে ঠিক করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে আমাদের কী কী লাগবে, কোথায় এবং কীভাবে আমরা সেনা মোতায়েন করব।’
নাইজারে সম্ভাব্য সামরিক হামলা চালানোর জন্য সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটের কাছে অনুমোদন চেয়েছেন নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা তিনুবু। এছাড়া সেনেগালও জানিয়েছে, ইকোয়াস সিদ্ধান্ত নিলে তারা নাইজারে সেনা পাঠাবে।
তবে নাইজারের সামরিক জান্তা জানিয়েছে, যে কোনো ধরনের বহিঃআক্রমণ তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিহত করবে তারা।
গত ২৬ জুলাই প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে অবরুদ্ধ করে রক্তপাতবিহীন এক সামরিক অভ্যুত্থান ঘটায় নাইজারের প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের সদস্যরা। এরপর সেনাবাহিনীর বিশেষ এ শাখার প্রধান জেনারেল আব্দুররহমান চিয়ানি নিজেকে দেশের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেন।
৫৯ বছর বয়সী জেনারেল চিয়ানি ২০০৩ সালে আইভরি কোস্টে ইকোয়াসের ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই তিনি খুব ভালো করেই জানেন তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযান চালানো হতে পারে।
ইকোয়াস সামরিক হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিলেও জোটটির সদস্য মালি ও বুরকিনা ফাসো এর বিরোধীতা করেছে। তারা উল্টো হুমকি দিয়েছে, নাইজারের ওপর কোনো হামলা হলে সেটিকে মালি ও বুরকিনা ফাসো তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবে বিবেবচনা করবে এবং যে কোনো সামরিক আগ্রাসনের মুখে নাইজারের জান্তার সহায়তায় এগিয়ে আসবে।
অর্থসংবাদ/এমআই