গোঁজামিলে ডিএসইর সাপ্তাহিক প্রতিবেদন

গোঁজামিলে ডিএসইর সাপ্তাহিক প্রতিবেদন
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক প্রতিবেদনের তথ্যে গোঁজামিল রয়েছে। গত সপ্তাহের প্রতিবেদনে সংস্থাটি টপটেন লুজারের যে তালিকা প্রকাশ করেছে সেটি প্রশ্নবিদ্ধ। নিয়ম অনুযায়ী, শতাংশ হিসেবে তালিকা প্রস্তুত করা হলেও এবার তার ব্যত্যয় দেখা গেছে ডিএসইর প্রতিবেদনে। শতাংশ হিসেবে কিছু কোম্পানি শেয়ারদর কম হারালেও লুজারের শীর্ষ তালিকার শুরুতে নিয়ে আসা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানকে। আর বেশি দরপতন হওয়া কোম্পানিগুলোকে টপটেন লুজার তালিকার শেষের দিকে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ডিএসইর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সঠিক কোন তথ্য দিতে পারেননি।

জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে রুপালী ব্যাংকের সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারদর গত সপ্তাহে ১১ দশমিক ০৮ শতাংশ কমেছে। এ তালিকার (টপটেন লুজার) দ্বিতীয় স্থানে থাকা আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ারদর কমেছে ০ দশমিক ৪২ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারদর ০ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমেছে। তালিকার চতুর্থ স্থানে রাখা হয়েছে ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ দরপতন হওয়া ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেডকে। তালিকার ৬ষ্ঠ স্থানে থাকা সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামি মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর কমেছে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ।



নিয়ম অনুযায়ী, শতাংশ হিসেবে টপটেন লুজার ও গেইনার তালিকা প্রস্তুত করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। গেইনার তালিকায় এ নিয়ম মানা হলেও লুজার তালিকায় নিয়মের ব্যত্যয় দেখা গেছে। শতাংশ হিসেবে সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামি মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর কমেছে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমলেও প্রতিষ্ঠানটিকে লুজার তালিকার ৬ষ্ঠ স্থানে রাখা হয়েছে। অপরদিকে ০ দশমিক ৪২ শতাংশ শেয়ারদর কমা আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংককে রাখা হয়েছে এ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। শতাংশ হিসেবে কম শেয়ারদর হারানো প্রতিষ্ঠানকে লুজার তালিকার শুরুতেই রাখা হয়েছে। আর বেশি দরপতন হওয়া কোম্পানিগুলোকে রাখা হয়েছে শেষের দিকে। বিষয়টি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, সাপ্তাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের দায়িত্ব ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের গবেষণা বিভাগের। এ বিভাগের দেখভাল করেন খোঁদ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। টপটেন লুজার তালিকায় গোঁজামিলের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার অর্থসংবাদকে বলেন, সাপ্তাহিক প্রতিবেদন না দেখে কিছু বলা যাবে না।

জানতে চাইলে ডিএসইর গবেষণা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও এজিএম মো. মাহফুজুর রহমান অর্থসংবাদকে বলেন, লুজার তালিকা এক্সেলে (মাইক্রোসফট এক্সেল) লিংক করা থাকে। ঠিক বুঝতে পারছি না, হয়তো এক্সেল লিংকে কোথাও সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি অফিসে গিয়ে জানাতে পারবো।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, বিষয়টি ভুল কি না সেটি ডিএসই বলতে পারবে। যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে ভবিষ্যতে যেন এ ধরণের ঘটনা না ঘটে সেজন্য বিএসইসি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

উল্লেখ্য, ভুল তথ্য দিয়ে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্তি করা এবারই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন ইস্যুতে একাধিকবার ভুল তথ্য দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি তালিকাভুক্ত ইস্টার্ণ ক্যাবলসের আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে ভুল তথ্য দেয় ডিএসই। ইস্টার্ণ ক্যাবলস দ্বিতীয় প্রান্তিকে আয় করলেও ডিএসইতে সেটি লোকসান হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছিল। এর একদিন পরই তালিকাভুক্ত আরেক কোম্পানি বিচ হ্যাচারির আর্থিক প্রতিবেদন নিয়েও ভুল তথ্য দেওয়া হয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পা-বিহীন টিকটিকিসহ শতাধিক নতুন প্রজাতির আবিষ্কারের বছর ২০২৩
গলাব্যথা সারাতে কেন লবণ-পানি পান করবেন
থার্টিফার্স্টে মেট্রোরেলের আশপাশে ফানুস না ওড়ানোর অনুরোধ
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন সোহান
ঢাবির অধীনে এডুকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ
আজ পীরগঞ্জ যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে হবে
দুই বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো সৌদি
প্রথম দিনেই ‘সালার’ আয় ১৭৫ কোটি
টানা তিন বছর মুনাফা না থাকলে ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা নয়