দেশের ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান আগামী ১৫ আগস্ট সাইবার হামলার শিকার হতে পারে। এ হামলার প্রতিকারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সতর্কতা জারি করেছে সরকার। তাতে ১১ সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
শুক্রবার (১০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ইনফরমেশন সিস্টেমস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট ডিপার্টমেন্টের যুগ্ম পরিচালক ও সিস্টেম বিশ্লেষক এস এম তোফায়েল আহমেদের সই করা এক চিঠিতে প্রয়োজনীয় সতর্ক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
চিঠিটি দেশের সকল তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (বিজিডি ই-জিওভি সিআইআরটি) এ সতর্কতা জারি করেছে।
সাইবার হামলায় রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো (সিআইআই), ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে বলে সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে ছোট বা মাঝারি ধরনের সাইবার হামলা ঠেকানোর জন্য পূর্বপ্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
সাইবার হামলার আক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য নির্দেশনা- ২৪ ঘণ্টা, বিশেষ করে অফিস সূচির বাইরের সময়ে নেটওয়ার্ক অবকাঠামোয় নজরদারি রাখতে হবে এবং কেউ তথ্য সরিয়ে নিচ্ছে কিনা, তা খেয়াল রাখতে হবে। সাইবার আক্রমণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনতে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এছাড়া নেটওয়ার্কে অনিরাপদ কার্যক্রম শনাক্তের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি নিরাপত্তাব্যবস্থা শক্ত করতে ওপেন ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি প্রজেক্টের (ওডব্লিউএএসপি) সর্বশেষ নির্দেশিকা মানতে হবে।
সাইবার হামলা এড়াতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু পরামর্শ দেয় সার্ট। সেগুলো হলো- ইনকামিং এইচটিটিপি/এইচটিটিপিএস ট্রাফিক বিশ্লেষণের জন্য ফায়ারওয়াল স্থাপন এবং ক্ষতিকারক অনুরোধ ও ট্রাফিক প্যাটার্ন ফিল্টার করা। ডিএনএস, এনটিপি ও নেটওয়ার্ক মিডল বক্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিসেবা সুরক্ষিত রাখা; ব্যবহারকারীদের ইনপুট যাচাই করা। ওয়েবসাইটের ব্যাকআপ রাখা; এসএসএল ও টিএলএস এনক্রিপশনসহ ওয়েবসাইটে এইচটিটিপিএস প্রয়োগ করা। হালনাগাদ প্রযুক্তি ব্যবহার করাসহ সন্দেহজনক কোনো কিছু নজরে এলে বিজিডি ই-গভ সার্টকে জানাতে বলা হয়।
অর্থসংবাদ/এসএম
