তিনি বলেন, উর্ধ্বমুখী বাজারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। তাদের অনেকে কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল তথ্য কিংবা বর্তমান পারফরমেন্স কি না জেনেই গুজবে কান দিয়ে বা হুজুগে পড়ে শেয়ার কেনা-বেচা করেন। বিনিয়োগকারীদের এই অভ্যাস পরিহার করতে হবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় দেখা গেছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের অনেকে নতুন শেয়ারের প্রতি অতিমাত্রায় ঝুঁকে পড়েন। তারা তাদের কাছে থাকা অন্য কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে নতুন শেয়ারে বিনিয়োগ করেন। তাদের এই অতি আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে একটি চক্র নতুন শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানোর চেষ্টা করে।
কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এই মূল্য টেকসই হয় না। ফলে কিছু বিনিয়োগকারী মুনাফা করতে সক্ষম হলেও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাই নতুন শেয়ার কেনার জন্য হাতে থাকা শেয়ার বিক্রির আগে ভালোভাবে ভাবতে হবে। বিনিয়োগকারীর হাতে থাকা শেয়ারের চেয়ে নতুন শেয়ার ফান্ডামেন্টাল দিক থেকে বেশি ভাল কি-না নিজেই তা বিচার-বিশ্লেষণ করতে হবে। সাধারণ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ার কেনার কথা নয়। নিশ্চয়ই তাদের হাতে থাকা শেয়ার মৌলভিত্তির দিক দিয়ে বেশ ভাল। এসব কোম্পানি পুরনো বলে তাদের পারফরম্যান্স পরীক্ষিত। কিন্তু নতুন শেয়ারের পারফরম্যান্স পরীক্ষিত নয়। তাই পুরনো শেয়ার বেচে নতুন শেয়ার কেনার আগে কয়েকবার ভেবে নেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের আকার বড়, ফ্লোটিং শেয়ার বেশি সেসব কোম্পানির শেয়ারের দামে বড় উত্থান-পতন হয় না। কারসাজি করা কঠিন হয়। তাই এসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করা তুলনামূলক নিরাপদ।
মোঃ রকিবুর রহমান আরও বলেন, কোনো কোম্পানির শেয়ার কেনার আগে ওই কোম্পানির ব্যবসা সম্পর্কে জানা, ব্যবসার ভবিষ্যত সম্ভাবনা, উদ্যোক্তাদের সুনাম, গত ৫ বছরের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস), মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও), লভ্যাংশ ঘোষণার হার, মুনাফায় প্রবৃদ্ধির হার, কোম্পানির ফ্লোটিং শেয়ারের পরিমাণ, শেয়ারের আরএসআই ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা দরকার।