এমন সমীকরণ অনেকের মাথায় আসলেও তা সঠিক নয়। তিন সংস্করণের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার হিসেবে সাকিব প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। বছরে যা দাঁড়ায় ১ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
হিসাব অনুযায়ী সাকিবের মাসিক বেতন ১২ লাখ হওয়ার কথা থাকলেও তা কমার পেছনে কারণ বেতন কাঠামোর নিয়ম। নিয়মনুযায়ী তিন সংস্করণে খেললে ক্রিকেটাররা ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রথম সংস্করণের শতভাগ, দ্বিতীয় সংস্করণের ৫০ ভাগ ও তৃতীয় সংস্করণের ৪০ ভাগ টাকা পেয়ে থাকেন।
যদি কোনো ক্রিকেটার দুই সংস্করণে খেলেন তাহলে যে সংস্করণে সর্বোচ্চ টাকা সেটিকে প্রথম বলে বিবেচেনা করা হয়। এই কারণেই স্বাভাবিক হিসাবের তুলনায় সাকিবের বেতন কমে আসে। তবে তিন সংস্করণে নির্দিষ্ট সংখ্যক ম্যাচ খেলার কোটা পূরণ করলে ক্রিকেটাররা পান বাড়তি ভাতা।
শুধু বেতনের বেলায় নয়, অধিনায়কের ভাতার নিয়মেও বিসিবি আলাদা পদ্ধতি পালন করে। সাধারণত, যে কোনো সংস্করণে একজন অধিনায়কের মাসিক ভাতা ৪০ হাজার টাকা দিয়ে থাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। একই নিয়মে সহ-অধিনায়ক পান ২০ হাজার টাকা। কিন্তু একজন ক্রিকেটার যদি একাধিক সংস্করণে অধিনায়কত্ব পালন করেন, তাহলে তিনি কত টাকা ভাতা পান এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই জাগ্রত হতে পারে।
বিসিবির বেতন-ভাতার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একাধিক সংস্করণে দায়িত্ব পালন করলেও একজন অধিনায়কের ভাতা শুধু একটি বিবেচিত হবে। অর্থাৎ সাকিব তিন সংস্করণে অধিনায়কত্ব করলেও ভাতা পাবেন এক সংস্করণের জন্য বরাদ্ধ ৪০ হাজার টাকাই।
তবে মাসিক বেতনের পাশাপাশি বিসিবি খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফি, সিরিজ জয়ের আলাদা বোনাস, ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ খেলতে না দেওয়া ক্রিকেটারদের আলাদা প্রণোদনা এবং আনুষাঙ্গিক ভাতা প্রদান করে থাকে।
অর্থসংবাদ/আজাদ