সোমবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং এডিবির পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির আবাসিক মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, চলমান রুরাল কানেক্টিভিটি ইম্প্রুভমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে ১৯ কোটি ডলার এবং ইম্প্রুভিং আরবান গভর্নেন্স অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোগ্রামের আওতায় ৩০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে এডিবি।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রুরাল কানেক্টিভিটি ইম্প্রুভমেন্ট প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষিপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে যোগাযোগ: সুবিধা সৃষ্টি, গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন, বিদ্যমান গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামোগুলোকে জলবায়ু-সহিষ্ণু ও আবহাওয়া উপযোগীমানে উন্নীতকরণ এবং কার্যকর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশীদারদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২ শতাংশ সুদে অতিরিক্ত অর্থায়ন হিসেবে ১৯ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে এডিবি। এ ঋণের মেয়াদকাল হবে ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ২৫ বছর।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ইম্প্রুভিং আরবান গভর্নেন্স অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার কর্মসূচির মাধ্যমে পরিকল্পিত, সমন্বিত ও টেকসই নগরায়ন এবং উন্নত অবকাঠামো ও পরিষেবা নিশ্চিতকরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২ শতাংশ সুদে অতিরিক্ত অর্থায়ন হিসেবে ৩০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে এডিবি। এ ঋণের মেয়াদকাল হবে গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ২৫ বছর।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে এডিবিতে যোগ দেয়। ১৯৮১ সালে একটি মাঠ অফিস হোস্ট করার জন্য প্রথম এডিবি সদস্য হয়। সংস্থাটি প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার ঋণ, অনুদান এবং সহ-অর্থায়নসহ প্রযুক্তিগত সহায়তা সংগ্রহ করেছে। এডিবি চরম দারিদ্র্যতা দূরীকরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৯৬৬ সালে এডিবি প্রতিষ্ঠিত হয়, সংস্থাটির সদস্যভুক্ত দেশ ৬৮টি।