ইসালমী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন ভবন-সংলগ্ন এলাকায় ব্যাংক কর্মকর্তা মইনুল হাসানের গলায় ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে শামিমা খাতুন (৩৬) নামে এক মহিলার বিরুদ্ধে। তৎক্ষণাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর আহত ব্যাংক কর্মকর্তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঐ মহিলাকে আটক করে থানায় হস্তান্তরসহ তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ৪ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে বিপরীত পাশের প্রবেশদ্বারে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অগ্রণী ব্যাংক ইবি শাখার কর্মকর্তা এস.সি ওয়াশিম।
তিনি বলেন, মইনুল চা খেতে বাইরে গেলে অনেকক্ষণ ঐ মহিলার সাথে কথা বলে। পরে ফিরে আসার সময় প্রশাসন ভবনের পাশে এলে শামীমা নামের ঐ মহিলা তাকে পিছন থেকে গলায় ছুড়িকাঘাত করে। এতে মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছেন মইনুল। তার অবস্থা বর্তমানে সংকটাপন্ন। প্রথমে ইবির চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেলে পাঠানো হয়ে। আপাতত শাখা প্রধান বাদী হয়ে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হবে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ব্যাংকের কর্মকর্তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বুলেন্সে কুষ্টিয়া পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঐ নারীকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননূর যায়েদ বিপ্লব বলেন, ঐ নারীকে থানায় নিয়ে এসেছি। এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কি কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতোটুকু জেনেছি তারা দুজনেই পূর্বপরিচিত। মহিলা দাবি করছেন তারা বিয়ে করেছেন। তবে ঐ ব্যাংক কর্মকর্তা বিষয়টি অস্বীকার করছেন। এ থেকেই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত করলে বিস্তারিত জানা যাবে।
ইবি থানা সূত্রে জানা যায়, ছুরিকাঘাতকারী ঐ নারীর নাম শামীমা। তার বাবার নাম আবু বকর। তিনি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার বাসিন্দা।
অর্থসংবাদ/এসএম