বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট, ২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন হয়েছে ২৮ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা। এর আগের বছর এ লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার ১০৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে। এছাড়া ২০২০ সালে ১৪ হাজার ২৪৬ কোটি, ২০১৯ সালে ১৮ হাজার ৯২৯ কোটি এবং ২০১৮ সালে ১৬ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিলো।
ক্রেডিট কার্ড মূলত কার্ডধারীর অর্থ ব্যয়ের সুবিধা নিশ্চিত করে। ব্যবহারকারী যখন কোনো অর্থ প্রদানের জন্য ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন, তখন উক্ত অর্থ সেভিংস/কারেন্ট একাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হয়না। বরং খরচ করা অর্থ ব্যাংক বা কার্ড ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠান আপনাকে বাকিতে লেনদেনের সুবিধা দিয়ে থাকে। বিপরীতে, ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা হয় টাকার পরিবর্তে কেনাকাটার করার ক্ষেত্রে। এই কার্ড ক্রেডিট কার্ডের অনুরূপ। এই কার্ড দিয়ে কার্ডের মালিক তার ব্যাংক একাউন্ট এ থাকা অর্থ সরাসরি ব্যবহার করতে পারে।
২০২২ সালে ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৭০১ কোটি টাকা। এর আগের বছর তথা ২০২১ সালে যা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা ছিল। অর্থাৎ ক্রেডিট কার্ডের মতো ডেবিট কার্ডেও লেনদেন বেড়েছে। এর আগে ২০২০ সালে লেনদেন হয়েছিলো ১ লাখ ৭৭ হাজার ৩৫ কোটি, ২০১৯ সালে ১ লাখ ৬৭ হাজার ১২৩ কোটি এবং ২০১৮ সালে ১ লাখ ৪২ হাজার ৪৬ কোটি টাকা।
নগদ টাকার পরিবর্তে ক্যাশলেস লেনদেনে ঝুঁকছে মানুষ। একই কার্যক্রমে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলা কিউআর’ দেশের বিভিন্ন জায়গায় চালু হয়েছে। তাতে গ্রাহকেরা এক ব্যাংক বা এমএফএস থেকে আরেক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক টাকা পরিশোধ করতে পারছেন। ফুটপাথ বা ভ্রাম্যমাণ দোকানিরাও কিউআরে বিল নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
অর্থসংবাদ/এমআই