বুধবার (১৬ আগস্ট) জাহাজভাঙা শিল্পের পরিবেশসম্মত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে জাহাজভাঙা শিল্পের উল্লেখযোগ্য অবদান থাকলেও এর পরিবেশগত সুরক্ষা নিশ্চিতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। সবার আগে এর সঙ্গে জড়িত শ্রমিক ও তাদের স্বাস্থ্যগত দিকের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে। পরিবেশগত ঝুঁকির দিকগুলো চিহ্নিত করে তা দূর করার মাধ্যমে জাহাজভাঙা শিল্প যাতে বিকশিত হতে পারে সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। টেকসই ও পরিবেশবান্ধব অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী আবু তাহের।
বাংলাদেশে জাহাজভাঙার পরিবেশ ব্যবস্থাপনার বর্তমান অবস্থার ওপর মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (ইসিসি) মাসুদ ইকবাল মো. শামীম এবং জাহাজভাঙার কার্যক্রমের বর্তমান অনুশীলন এবং ভবিষ্যত উন্নয়ন পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী। কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা, বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লিার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে বক্তব্য দেন।