আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪২ হাজার ৩৫০টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। বুধবার (১৬ আগস্ট) সারা দেশে ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। খসড়ায় দেখা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তুলনায় এবার ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ ভোটকেন্দ্র বেড়েছে।
বুধবার (১৬ আগস্ট) নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা অনুযায়ী মাঠপর্যায়ে গঠিত সংশ্লিষ্ট কমিটি সারা দেশে আজ বুধবার এই খসড়া তালিকা প্রকাশ করে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ৪০ হাজার ১৮৩টি। আর ভোট কক্ষ ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৩১৯টি। এবারের খসড়ায় ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজারের কিছু বেশি। একাদশ সংসদ নির্বাচনের তুলনায় এবার ভোটকক্ষ বাড়ছে ২৬ শতাংশ।
ইসি জানায়, ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা নিয়ে কারও আপত্তি থাকলে তা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জানানো যাবে। ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে। মাঠপর্যায়ের কমিটিকে ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে খসড়া তালিকা চূড়ান্ত করতে এবং নীতিমালা অনুসরণ করে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করে ইসি সচিবালয়ে পাঠাতে হবে।
ইসি সূত্র জানায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে মোট ভোটার ছিল ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭ জন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার হবে প্রায় ১২ কোটি। ভোটারসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যাও বাড়ছে। ইসি নিজেদের কাজের সুবিধায় সারা দেশকে ১০টি অঞ্চলে ভাগ করে কাজ করে থাকে। এই ১০টি অঞ্চলের সব কটিতেই ভোটকেন্দ্র বাড়ছে।
খসড়া তালিকায় দেখা গেছে, সবেচেয়ে বেশি ভোটকেন্দ্র বাড়ছে কুমিল্লা অঞ্চলে। এখানে ভোটকেন্দ্র বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশ। আর বৃদ্ধির হার সবচেয়ে কম সিলেট অঞ্চলে ২ শতাংশের মতো। ভোটকেন্দ্র কোথায় হবে, এত দিন তা ইসির কর্মকর্তারাই নির্ধারণ করতেন। সম্প্রতি ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা সংশোধন করে ইসি। তাতে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণের কাজে ইসির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তাদের যুক্ত করা হয়।
ইসির নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, কোথায় কোথায় ভোটকেন্দ্র হবে, তার খসড়া তালিকা তৈরির জন্য উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) আহ্বায়ক করে একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়। কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। এ কমিটির সদস্যসচিব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। আর জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নেতৃত্বে মহানগর বা জেলায় ভোটকেন্দ্র স্থাপন কমিটির সদস্যসচিব জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। সদস্য হিসেবে আছেন বিভাগীয় কমিশনারের প্রতিনিধি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের প্রতিনিধি, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। উপজেলা কমিটির তৈরি করা ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা মহানগর বা জেলা কমিটিতে পাঠানো হবে। এ কমিটি দৈবচয়নের ভিত্তিতে ভোটকেন্দ্র সরেজমিন তদন্ত করে মতামত দেবে। এ মতামতসহ খসড়া তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠাবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
অর্থসংবাদ/এসএম