১০ কোটি মানুষের জন্য ‘সর্বজনীন পেনশন’ উদ্বোধন আজ

১০ কোটি মানুষের জন্য ‘সর্বজনীন পেনশন’ উদ্বোধন আজ
১০ কোটি মানুষের জন্য সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। গণভবন থেকে সকাল ১০টায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, রংপুর জেলা ও সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারাও ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন।

সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু করেছে সরকার। আপাতত চার শ্রেণীর জনগোষ্ঠীর জন্য চার ধরনের পেনশন কর্মসূচি চালু করা হচ্ছে। সেগুলো হলো প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’, প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য ‘প্রবাসী’ ও দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’ স্কিম। তবে চাঁদাদাতা যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে স্কিম পরিবর্তন করতে পারবেন।

সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি এমনভাবে করা হচ্ছে, যাতে দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিকই এ ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারেন এবং ৬০ বছর বয়স থেকে তারা আজীবন পেনশন পাবেন। শুরুর দিকে চিন্তা না থাকলেও পরে ৫০ বছরের বেশি বয়সীদেরও পেনশন কর্মসূচির আওতায় রাখার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। তারা টানা ১০ বছর চাঁদা দেয়ার পর পেনশন সুবিধা পাবেন। পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণকারীকে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেককে একটি ইউনিক আইডি নম্বর দেয়া হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে গত রোববার ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা-২০২৩’ জারি করা হয়। বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিটি স্কিমের বিপরীতে নির্ধারিত পরিমাণ চাঁদা দেয়া সাপেক্ষে মাসিক পেনশনের প্রাপ্যতা অর্জিত হবে। ১৮-৫০ বছর বয়সী জাতীয় পরিচয়পত্রধারী (এনআইডি) সব নাগরিকই পেনশন স্কিমে নিবন্ধিত হতে পারবেন। অবশ্য বিশেষ বিবেচনায় ৫০ ঊর্ধ্ব নাগরিকও এ স্কিমে যুক্ত হতে পারবেন। এক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন এক বছর চাঁদা দেয়ার পর যে বয়সে উপনীত হবেন, তার থেকে আজীবন পেনশন প্রাপ্য হবেন। কোন স্কিমে এবং কী পরিমাণ চাঁদা দিলে মাসিক কত টাকা করে পেনশন পাবেন, সেটাও উল্লেখ রয়েছে বিধিমালায়। প্রবাসী বাংলাদেশীদের এনআইডি না থাকলে পাসপোর্ট দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। তবে স্বল্প সময়ের মধ্যে এনআইডি নিয়ে জমা দিতে হবে।

অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড বা তফসিলি ব্যাংকে চাঁদা জমা দেয়া যাবে। জরিমানা ছাড়া পরবর্তী এক মাসের মধ্যে চাঁদা দেয়া যাবে। তবে এর বেশি সময় অতিবাহিত হলে প্রতিদিনের জন্য গুনতে হবে ১ শতাংশ হারে বিলম্ব ফি। পরপর তিন মাস চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলে পেনশন হিসাব স্থগিত হয়ে যাবে। সব বকেয়া পরিশোধ না হলে তা আর সচল হবে না।

চাঁদাদাতা নিজের এবং পরিবারের প্রয়োজনে চিকিৎসা, গৃহনির্মাণ, গৃহ মেরামত এবং সন্তানদের বিয়ের জন্য তহবিলে জমাকৃত অর্থের ৫০ শতাংশ ঋণ হিসেবে তুলতে পারবেন। তা নির্ধারিত ফিসহ সর্বোচ্চ ২৪ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে, যা তার হিসাবে জমা হবে। একটি ঋণ চলমান থাকতে নতুন করে ঋণ নেয়া যাবে না।

কোনো স্কিমের চাঁদাদাতা পেনশনে থাকাকালে তার বয়স ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে মারা গেলে, তার নমিনি বা উত্তরাধিকারীরা ৭৫ বছর হওয়া পর্যন্ত অবশিষ্ট মাসের জন্য মাসিক পেনশন পাবেন। কোনো চাঁদাদাতা মাসিক পেনশন প্রাপ্যতা অর্জিত হওয়ার আগে মারা গেলে, তার নমিনি বা অবর্তমানে উত্তরাধিকারী মুনাফাসহ জমাকৃত অর্থ ফেরত পাবেন।

অর্থসংবাদ/এমআই

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
নির্বাচন ঘিরে সেন্টমার্টিনের পর্যটন বন্ধ ৩ দিন
মেট্রোরেলে মাছ-মাংস-সবজি পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা
জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু