আজ শুক্রবার সকালে জাতির পিতার জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ প্রদান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন তিনি। গণভবন থেকে ওই আলোচনাসভায় ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, '৭৫-এর ১৫ আগস্ট যে ঘাতকের দল জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল, তার দোসর যারা, তারা এ দেশে কখনো স্থিতিশীল সরকার থাকুক তা তারা চায়নি, যার জন্য মাঝে মাঝেই চেষ্টা করে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। এ প্রচেষ্টা যখন চালায় তখন আমরা দেখি অগ্নিসংযোগ করে জীবন্ত মানুষকে হত্যা করা অথবা মানুষকে খুন করা অথবা নানা ধরনের ঘটনা ঘটানো। আমাদের সব অবস্থাই মোকাবেলা করতে হয়।
তিনি বলেন, বিশ্বে করোনাভাইরাস নামে এখন যে মহাদুর্যোগ চলছে, তা থেকে বিশ্ববাসী শিগগিরই মুক্তি পাক- এটাই আমাদের আকাঙ্ক্ষা। মানুষ আবার সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারুক- এটাই আমরা চাই। এই সময় আমাদের সাধারণত জাতিসংঘে থাকার কথা। কিন্তু যেতে পারিনি করোনাভাইরাসের কারণে। প্রতিবার আমি জাতিসংঘে ভাষণ দিয়েছি। এবার আমার ১৭তম ভাষণ আমি দিতে পারছি না, এটা দুঃখজনক। আসলে জাতিসংঘে সব দেশের নেতাদের সঙ্গে দেখা হওয়ার একটা সুযোগ তৈরি হয়। পরস্পরের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হয়। একে অপরকে কিভাবে সহযোগিতা করা যায়, কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, একে অপরকে জানতে পারি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি ভেবেছি, করোনাভাইরাসের কারণে হয়তো বিশ্বে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। তাই সতর্ক ছিলাম, বাংলাদেশে যেন কোনোভাবেই সেই দুর্ভিক্ষের প্রভাব না পড়ে। যতটুকু পারি খাদ্য উৎপাদন করা, খাদ্য বিতরণ করা, দরিদ্র মানুষকে বিনা পয়সায় খাদ্য দেওয়া এবং খাদ্যের নিশ্চয়তা দেওয়া, সেই প্রচেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, ওই দিনটিও শুক্রবার ছিল, তিনি বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন। তা যদি আমরা পর্যালোচনা করি, তিনি যে কথাগুলো বলেছিলেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দুর্যোগে যদি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এর জন্য সহযোগিতা করা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, মানুষের সামাজিক উন্নয়ন, গরিব মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন, রোগ-শোক মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়; জাতির পিতার দেখানো দেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতি এখনো তাঁর সরকার অনুসরণ করে তাঁর সরকার দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে চলেছে- যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী