বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) যৌথভাবে এ সামিটের আয়োজন করেছে। বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এবং আমার দেশের জনগণ ২০৪১ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির স্বপ্ন দেখি।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য আমরা ১০০টি স্পেশাল ইকোনোমিক জোন এবং ১০৯টি হাই-টেক ও সফটওয়্যার পার্ক স্থাপন করেছি। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপন করছি।
সরকারপ্রধান বলেন, ভবিষ্যতে যারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়, তাদের জন্য আমাদের প্রাইভেট সেক্টরে যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ীদের সাথে পার্টানারশিপ গড়ে তুলুন। যৌথভাবে আপনারা বিনিয়োগ করুন, যেন দুই দেশই লাভবান হয়। আগামীতে যেন আমরাও বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারি সেই পদক্ষেপও আমরা নেবো। দুই দেশের বন্ধুত্ব যেন আরও গাঢ় হয় সেটাই আমি চাই।
অনুষ্ঠানে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্যের অবসানের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে দ্ব্যর্থহীন সমর্থন ব্যক্ত করেন। বহু আন্তর্জাতিক মঞ্চেও বহুবার এই দাবির পুনরাবৃত্তি করেন। গত ১৫ বছরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এটি তুলনামূলকভাবে এখনো অনেক কম।
বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং ক্রমবর্ধমান ক্রয়ক্ষমতার কারণে বাংলাদেশ বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। শতভাগ বিদ্যুতায়নের কারণে আমাদের উৎপাদন খরচ অনেক কমেছে। দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে অনেক ভালো কোম্পানি রয়েছে। এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে সাউথ আফ্রিকার ব্যবসায়ীরা লাভবান হতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা খুব শিগগিরই কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করতে যাচ্ছি। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য করতে পারবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, দক্ষিণ আফ্রিকার গণপূর্ত ও পরিকাঠামো মন্ত্রী শিলে জিকালালা, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নূর ই হেলাল সাইফুর রহমান রোড শোতে উপস্থিত আছেন।