প্রতি সেমিস্টারের ন্যায় ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে (ইডিইউ) সামার-২৩ সেশনে অনুষ্ঠিত হলো মেরাকি-সিজন ১৪। ‘ট্রাইবাল ক্যালেইডোস্কোপ’ থিম নিয়ে সাজানো হয়েছে ইডিইউ অ্যাক্সেস অ্যাকাডেমির এবারের কোর্সওয়ার্ক ‘মেরাকি’।
প্রথম বর্ষে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা বিশেষ এই কোর্সওয়ার্কে অংশ নিতে ত্রিশটি দলে ভাগ হয়ে ৩০টি বৈশ্বিক আদিবাসী গোষ্ঠীকে প্রতিনিধিত্ব করেছে। তার মাঝে কিছু উল্লেখযোগ্য হলো, পেনেন, নেনেটস, আইনু, মাসাই, আসানিংকা, হিম্বা, ডোগোন, মাওরি, নাহুয়াস প্রমুখ।
বুধবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১১ টায় ‘মেরাকি’ উদ্বোধন করেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান। এসময় তিনি প্রতিটি দলের জন্য নির্ধারিত স্টলগুলোতে ঘুরেন, এবং শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন।
ইডিইউতে ভিন্নধারার এমন বিশেষ কোর্সওয়ার্ক নিয়ে তিনি বলেন, মেরাকির মাধ্যমে যুগে যুগে বিবর্তিত হওয়া মানবসভ্যতা সম্বন্ধে শিক্ষার্থীরা জানতে পেরেছে। এই আহোরিত জ্ঞান তাদের যেমন মানবগোষ্ঠীর প্রতি সহমর্মতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে, ঠিক তেমনি কীভাবে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী প্রতিকূল সময়ে নতুন কৌশল আয়ত্ত করে জীবন ধারণ করেছে তা সম্বন্ধে তারা শিখতে পারবে।
ভিন্নমাত্রিক এই কোর্সওয়ার্ক নিয়ে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ভাইস-চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে শিক্ষার্থীদের ‘গ্লোবাল সিটিজেন’ হিসেবে বিশ্বমঞ্চের জন্য প্রস্তুত করতে ইডিইউ সর্বদায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক্সেস অ্যাকাডেমির মাধ্যমে প্রথম বর্ষ হতেই ইডিইউর শিক্ষার্থীরা কেবল তাত্ত্বিক জ্ঞানে শিক্ষিত হয়ে উঠছে না, একইসঙ্গে সফট স্কিলস সহ মননশীলতা ও সৃষ্টিশীলতার ছোঁয়ায় বিকশিত হচ্ছে।
বেস্ট ডেকোরেশন, বেস্ট কস্টিউম এবং বেস্ট প্রেজেন্টেশন- এই তিনটি ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। যথাক্রমানুসারে, তিনটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন টিম ইনুইট, টিম যুলু, এবং টিম সামোআন।
জানতে চাইলে, এক্সেস একাডেমি প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর সহকারী অধ্যাপক রওনক আফরোজ বলেন, এই প্রথম পৃথিবীর বিভিন্ন আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী কে কেন্দ্র করে মেরাকি আয়োজিত হয়েছে। এই থিমকে পরিপূর্ণতা দিতে, বেশ উৎফুল্লতার সহিত অংশগ্রহণকারীরা তাদের নির্ধারিত জাতিগোষ্ঠীগুলোর খাবার, সাজ-পোশাক থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী, সাংস্কৃতিক ও জাতিগত পরিচিতির উপাদানগুলোর পসরা সাজিয়ে স্টলগুলো রাঙিয়ে তুলেছে।
অর্থসংবাদ/এসএম