সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম পিংক ভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের তারকা হওয়ার গল্প বলেছেন রণিত। সেখানে উঠে আসে তাঁর সংগ্রামী জীবনের দিনগুলোর কথা। সাক্ষাৎকারে রণিত বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে আমির খানের সঙ্গে বছর কাটিয়েছি। আমি তাঁর দেহরক্ষী ছিলাম। আমি একটি কোম্পানি শুরু করেছিলাম। কিন্তু আমার কোনো কাজ ছিল না। আমাকে কিছু একটা করতেই হবে। আমি খুব সৌভাগ্যবান ছিলাম, কারণ আমির খানের সঙ্গে দীর্ঘ সময় পার করেছি। তাঁর কাছ থেকে আমি শিখেছি কাজের জন্য কীভাবে অধ্যবসায়ী হতে হয়। নানাভাবেই আমির আমাকে শুরুটা করিয়ে দিয়েছেন। আমার জন্য সব সুযোগের দরজা খুলে দিয়েছিলেন। আমি তখন গাড়ি এবং অ্যাপার্টমেন্ট দেখাশোনার ব্যাপারটি বাদ দিয়ে দিই। আমি আমার প্রতিভায় শাণ দিতে শুরু করি। সৌভাগ্যবশত একতা কাপুর সে সময় দুটি বড় শো নিয়ে আমার কাছে হাজির হন। সেই থেকে শিখে যাচ্ছি, যা এখনো শেষ হয়নি।’
আমি খুব সৌভাগ্যবান ছিলাম, কারণ আমির খানের সঙ্গে দীর্ঘ সময় পার করেছি। তাঁর কাছ থেকে আমি শিখেছি কাজের জন্য কীভাবে অধ্যবসায়ী হতে হয়। নানাভাবেই আমির আমাকে শুরুটা করিয়ে দিয়েছেন। আমার জন্য সব সুযোগের দরজা খুলে দিয়েছিলেন।
জীবনে তারকা হওয়াই ছিল রণিতের লক্ষ্য। যদিও ওই জায়গায় পৌঁছাতে তাঁকে পাড়ি দিতে হয়েছে কঠিন পথ। রণিত বলেন, ‘আমি সব সময়ই তারকা হতে চেয়েছি। ১৫ বছর আগে এই চিন্তা থেকেই মুম্বাইয়ে আসি। আমি চেয়েছি আমি বড় গাড়ি কিনব। মেয়েরা আমরা নাম ধরে চিৎকার করবে, ঠিক এখন যেমনটি হয়। যখন আমি ব্যর্থ হয়েছি, পরে ভালো কিছু হয়েছে। কিন্তু পাঁচ থেকে ছয় বছর আমার কোনো কাজ ছিল না। তখন আমি বুঝতে পেরেছি আসলে সবকিছুই স্টারডম। অভিনেতা হওয়ার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।’
রণিত রায় জানান, জীবনে প্রচুর অপমানও সইতে হয়েছে তাঁকে। একবার তাঁকে বলা হয়েছিল, তিনি নাকি জুনিয়র আর্টিস্টদের থেকেও খারাপ। তবে এই অপমানই তাঁকে বড় করেছে। তাঁকে বুঝিয়ে দিয়েছে, কী করে কঠিন পরিশ্রম করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়।
নাগপুরের এক বাঙালি পরিবারে জন্ম নেওয়া রণিতের শৈশব কেটেছে গুজরাটের আহমেদাবাদে। জীবনে নানা রকম দুঃখের পথ পাড়ি দিয়ে আজকের অবস্থানে পৌঁছাতে হয়েছে তাঁকে। ‘আদালত’ সিরিয়াল দিয়ে তিনি ভক্তদের হৃদয়ে আসন করে নিয়েছেন। কে ডি পাঠক চরিত্রটির কারণে এখন তিনি ছোট পর্দার বড় তারকা।