সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতীত কোনো বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ক্রয়, দান, বিনিময় বা অন্য কোনোভাবেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো স্থাবর সম্পত্তি অর্জন করতে পারবে না। ‘বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (স্থাবর সম্পত্তি অর্জন নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০২৩’ শীর্ষক খসড়া আইনে এ বিধান রাখা হয়েছে। আইন জনসাধারণের পর্যালোচনা ও মতামতের জন্য প্রকাশ করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
প্রস্তাবিত আইনের খসড়ার বিষয়ে মতামত ও পরামর্শ থাকলে তা লিখিতভাবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধিগ্রহণ-১ শাখায় ডাকযোগে কিংবা acquisition1mol@gmail.com ই-মেইলে আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রেরণ করতে বলা হয়েছে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) ভূমি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে৷
উল্লিখিত আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, বিধান লঙ্ঘন করে কোনো বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো স্থাবর সম্পত্তি অর্জন করলে তা সরকার বাজেয়াপ্ত করতে পারবে এবং বাজেয়াপ্তকৃত সম্পত্তি দায়মুক্তভাবে সরকারের অনুকূলে সমর্পিত হবে মর্মেও বিধান রাখা হয়েছে।
আইনের খসড়ায় বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বলতে এমন ধরনের সংগঠন বা কর্তৃপক্ষকে বোঝানো হয়েছে যা কোন কর্পোরেশন হতে পারে বা নাও হতে পারে। এ ধরনের সংস্থা বাংলাদেশের বাইরে অন্য কোনো দেশে গঠিত বা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
আইনের খসড়ার ব্যাখ্যা অনুযায়ী, এই ধরনের বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো ব্যক্তি, সংগঠন বা কর্তৃপক্ষকে সেবা দান করা অথবা স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা।
সংসদে ‘বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (স্থাবর সম্পত্তি অর্জন নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০২৩’ প্রণয়ন করা হলে তা ‘বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন (স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ) নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ, ১৯৮৩’- এর স্থলাভিষিক্ত হবে।