প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রতিযোগিতা মোকাবিলায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইওটি, রোবটিক্স, সাইবার সিকিউরিটিসহ উচ্চপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে বর্তমানে চুয়েটে দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, উদ্বোধনের পর মাত্র এক বছরেই সেখানে বেশ কিছু আইটি প্রতিষ্ঠান ও স্টার্টআপকে স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, সিংগাপুর-ব্যাংকক মার্কেটের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের মাধ্যমে নির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পুরোদমে চলছে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, চান্দগাঁওয়ে নলেজ পার্কের পাশেই শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। চট্টগ্রামে বাস্তবায়িত হতে যাওয়া চারটি প্রকল্পের বাকি দুটি প্রকল্প সম্পন্ন হলে বাণিজ্যিক রাজধানী আইটি বিজনেস হাব হিসেবে গড়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় হাই-কমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা দুই দেশের অত্যন্ত উন্নত সম্পর্ক আরও দৃঢ়করণ এবং আইসিটি সেক্টরসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারীত্ব বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগসহ আইসিটি খাতে যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ ও ভারত। অদূর ভবিষ্যতে ভারত বাংলাদেশে তাদের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, প্রতিযোগিতার এ যুগে আমাদের তরুণদের টিকে থাকতে হলে প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নেই। সরকার এজন্যই একটি প্রযুক্তিনির্ভর জাতি গড়ে তুলতে কাজ করে চলেছে। এখন থেকে আর চাকরির পেছনে ছুটতে হবে না, নিজেরাই উদ্যোক্তা হয়ে মানুষকে চাকরি দেবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে আইসিটি বিভাগ থেকে বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম দেশের অন্যতম ডিজিটাল সিটি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরউল্লাহ্ বলেন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বর্তমানে সারা দেশে সরকারি উদ্যোগে ৯২টি হাই-টেক পার্ক বা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ও আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে, ইতোমধ্যে ১১টি পার্ক স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এখানে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি উদ্যোগে গঠিত হয়েছে আরও ১৭টি পার্ক।
প্রকল্প পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক জানান, প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে ৯ দশমিক ৫৫১ একর জায়গায় এ নলেজ পার্ক স্থাপনের কাজ শেষ হলে প্রায় এক হাজার জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রতি বছর ৩ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।