বিশ্বের অনেক দেশেই সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু রয়েছে। তবে ভারত-শ্রীলঙ্কায় এই খাতের টাকা থেকে কর দিতে হয়। আমাদের দেশের নাগরিকদের কর দিতে হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান।
তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিমের কোনো টাকা আমরা অপচয় করবো না। সব টাকা ট্রেজারি বিল ও টেজারি বন্ড খাতে বিনিয়োগ করা হবে। এখানের মুনাফা থেকেই লাভ দেওয়া হবে। মেয়াদ শেষে যে টাকা ব্যক্তি পাবেন সেখানে কোনো কর আরোপ করা হবে না।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিলের এমসিসিআই কার্যালয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে এক আলোচনায় তিনি এসব কথা জানান। আলোচনার আয়োজন করে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। এসময় সরকারি কর্মকর্তা, শিল্প উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন কোম্পানির প্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: যেভাবে সর্বজনীন পেনশনের জন্য আবেদন করবেন
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম অন্যান্য পেনশনের মতো না। এর সঙ্গে অন্যান্য পেনশনকে মেলানো যাবে না। এখানে ব্যাংকের মতো গ্রাহক টাকা রাখবেন, তার হিসাবে জমা হবে। এখানে কোনো মানুষের হাত থাকবে না। স্বয়ংক্রিয়ভাবে লেনদেন চলবে। ব্যক্তি তার হিসাব এক বছর পর পর দেখতে পারবেন, যে কতো টাকা লাভসহ জমা হলো। ৬০ বছর মেয়াদ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি আসলসহ মুনাফা পেতে থাকবেন। তিনি বেঁচে না থাকলে তার নমিনি পাবেন।
আলোচনায় এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম জনমানুষকে টেকসই সামাজিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বলয়ে অন্তর্ভুক্তি করার কার্যকরী উদ্যোগ। এতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। সব মানুষের জন্য ‘প্রগতি’, ‘সুরক্ষা’, ‘সমতা’ এবং ‘প্রবাসী’ নামে ৪টি প্যাকেজের মাধ্যমে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে এ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে। ‘সমতা’ স্কিমের আওতায় স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৫০ শতাংশ চাঁদা সহায়তা ইতিবাচক দিক।
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশনের টাকা দেওয়া যাবে বিকাশ-নগদে
মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, সর্বজনীন পেনশনের আওতায় চারটি স্কিম রয়েছে। দেশের ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিক এ স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। ক্ষেত্র বিশেষে ৫০ বছরের বেশি বয়সীরাও এ স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। প্রবাসে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকরাও এ স্কিমে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। আপনি এখানে যা জমা দেবেন তা লাভসহ আপনাকে ফিরিয়ে দেবে সরকার। এখানে কোনো ধরনের ঝুঁকি নেই, অনলাইনে সব হবে।
আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন কোম্পানির এইচ আর বিভাগের কর্মকর্তারা। তারা বলেন, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে দেখা যায় পেনশন উঠাতে গিয়ে জুতার তলা ক্ষয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গাতে ঘুষ না দিলে টাকা পাওয়া যায় না।
অর্থসংবাদ/এমআই
তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিমের কোনো টাকা আমরা অপচয় করবো না। সব টাকা ট্রেজারি বিল ও টেজারি বন্ড খাতে বিনিয়োগ করা হবে। এখানের মুনাফা থেকেই লাভ দেওয়া হবে। মেয়াদ শেষে যে টাকা ব্যক্তি পাবেন সেখানে কোনো কর আরোপ করা হবে না।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিলের এমসিসিআই কার্যালয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে এক আলোচনায় তিনি এসব কথা জানান। আলোচনার আয়োজন করে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। এসময় সরকারি কর্মকর্তা, শিল্প উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন কোম্পানির প্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: যেভাবে সর্বজনীন পেনশনের জন্য আবেদন করবেন
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম অন্যান্য পেনশনের মতো না। এর সঙ্গে অন্যান্য পেনশনকে মেলানো যাবে না। এখানে ব্যাংকের মতো গ্রাহক টাকা রাখবেন, তার হিসাবে জমা হবে। এখানে কোনো মানুষের হাত থাকবে না। স্বয়ংক্রিয়ভাবে লেনদেন চলবে। ব্যক্তি তার হিসাব এক বছর পর পর দেখতে পারবেন, যে কতো টাকা লাভসহ জমা হলো। ৬০ বছর মেয়াদ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি আসলসহ মুনাফা পেতে থাকবেন। তিনি বেঁচে না থাকলে তার নমিনি পাবেন।
আলোচনায় এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম জনমানুষকে টেকসই সামাজিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বলয়ে অন্তর্ভুক্তি করার কার্যকরী উদ্যোগ। এতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। সব মানুষের জন্য ‘প্রগতি’, ‘সুরক্ষা’, ‘সমতা’ এবং ‘প্রবাসী’ নামে ৪টি প্যাকেজের মাধ্যমে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে এ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে। ‘সমতা’ স্কিমের আওতায় স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৫০ শতাংশ চাঁদা সহায়তা ইতিবাচক দিক।
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশনের টাকা দেওয়া যাবে বিকাশ-নগদে
মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, সর্বজনীন পেনশনের আওতায় চারটি স্কিম রয়েছে। দেশের ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিক এ স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। ক্ষেত্র বিশেষে ৫০ বছরের বেশি বয়সীরাও এ স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। প্রবাসে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকরাও এ স্কিমে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। আপনি এখানে যা জমা দেবেন তা লাভসহ আপনাকে ফিরিয়ে দেবে সরকার। এখানে কোনো ধরনের ঝুঁকি নেই, অনলাইনে সব হবে।
আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন কোম্পানির এইচ আর বিভাগের কর্মকর্তারা। তারা বলেন, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে দেখা যায় পেনশন উঠাতে গিয়ে জুতার তলা ক্ষয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গাতে ঘুষ না দিলে টাকা পাওয়া যায় না।
অর্থসংবাদ/এমআই
