২৩ সেপ্টেম্বর, বুধবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, এমপি- ডাইফ মহাপরিদর্শকের হাতে “শুদ্ধাচার পুরস্কার- ২০২০”-এর সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র তুলে দেন।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার চর্চায় উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা, ২০১৭ প্রণয়ন করে। নীতিমালার ৪ ধারা অনুযায়ী ১১টি ক্ষেত্র ও ১৯টি সূচক বিবেচনায় নিয়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়ার জন্য এ তিন জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচন করা হয়।
শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলি হচ্ছে- পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা, সততার নিদর্শন, নির্ভরযোগ্যতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা, শৃঙ্খলাবোধ, সহকর্মীদের সঙ্গে আচরণ, সেবাগ্রহীতার সঙ্গে আচরণ, প্রতিষ্ঠানের বিধিবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা, সমন্বয় ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা, উদ্ভাবনী চর্চার সক্ষমতা, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে তৎপরতা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার, স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশে আগ্রহ, উপস্থাপন দক্ষতা, ই-ফাইল ব্যবহারে আগ্রহ এবং অভিযোগ প্রতিকারে সহযোগিতা। শুদ্ধাচার পুরস্কার হিসেবে বিজয়ীকে সনদপত্র ও এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়।
এবছর কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস মহামারীর দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে দেশের শ্রম খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের নির্দেশে মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন অধিদপ্তরসমূহ নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শ্রম অসন্তোষ নিরসনে প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়-এর নেতৃত্বে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
তাঁর নেতৃত্বে কর্মস্থলে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে পেশাগত সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এ অধিদপ্তরের এমবিবিএস ডাক্তারগণের মাধ্যমে সারা দেশের শ্রমিকদের জন্য টেলিমেডিসিন সেবা এবং করোনা সংক্রমণ রোধে কলকারখানায় ‘বিশেষ পরিদর্শন’ চালু করা হয়। এছাড়া তাঁর নেতৃত্বে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ই-ফাইলিং-এর জাতীয় র্যাংকিং-এ কয়েকবার প্রথম স্থান অর্জন করেছে।