এশিয়া কাপের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই আজ

এশিয়া কাপের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই আজ
ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট রোমাঞ্চ মানেই অন্য রকম মাদকতার গল্প। বিশ্বের যেকোনো মঞ্চে যে মোড়কেই খেলা হোক, এই হাইভোল্টেজ লড়াইকে ঘিরে মাঠ ও মাঠের বাইরে উত্তেজনার পারদ সব সময় চড়ে। আজ শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে এশিয়া কাপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দ্বৈরথে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর ৫০ ওভারের ক্রিকেটে এই দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর এটা প্রথম মহারণ।

ক্রিকেটবোদ্ধারা বলছেন ক্যান্ডিতে লড়াইটা হবে শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ, নাসিম শাহদের নিয়ে গড়া পাকিস্তানের দুর্দান্ত পেস আক্রমণের সঙ্গে ভারতের ব্যাটারদের। আফ্রিদিদের মোকাবেলার জন্য পুরোপুরি তৈরিও আছেন রোহিত শর্মারা, ‘নেটে তো আর শাহিন, নাসিম, রউফকে খেলতে পারব না। যারা আছে তাদের নিয়েই অনুশীলন করি। তবে ওরা তিনজনই দারুণ বোলার, গত কয়েক বছর ধরে খেলছেও ভালো।

তাই সোজাসাপ্টা কথা হচ্ছে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই জিততে চাই আমরা। র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠে আসা বাবর আজমের দলকে সমীহ করে তিনি যোগ করলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ওরা ভালো করছে। ওদের বিপক্ষে কঠিন একটা পরীক্ষাই হবে আমাদের, তবে আমাদের প্রস্তুতিও ভালো।’

মাঠের বাইরে উত্তেজনা যেমনই থাকুক মাঠে সৌহার্দ্যের বাতাবরণে খেলে থাকেন দুই দেশের ক্রিকেটাররা।

রোহিত শর্মা এবং বাবর আজমের কাছে আজকের লড়াইটিও স্রেফ একটি ক্রিকেট ম্যাচ। পাকিস্তান অধিনায়ক যেমন বলছিলেন, ‘বাড়তি কোনো চাপ নেই। হ্যাঁ, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আকর্ষণ সব সময় প্রবল। তবে আমাদের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে। আমাদের শুধু নিজেদের শক্তিতে মনোযোগ দিতে হবে এবং ভালো খেলতে হবে।

কদিন আগে শ্রীলঙ্কায় তারা আফগানিস্তানকে হারিয়েছে ৩-০ ব্যবধানে। এই অভিজ্ঞতা তারা কাজে লাগাতে চান ভারতের বিপক্ষেও, ‘আমরা জুলাই থেকে এখানে খেলছি। আশা করছি, এটা ভারতের বিপক্ষে ভালো খেলতে সাহায্য করবে।’

এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের এই মঞ্চে শুধু ওয়ানডে সংস্করণে খেলা ১৪ ম্যাচে ভারতের সাত জয়ের বিপরীতে পাকিস্তানের পাঁচটি। ক্যান্ডির মহারণেও নিজ দেশের গায়ে ফেভারিটের তকমা বসিয়ে দিয়েছেন ভারতের সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী, ‘আমার মতে ভারতই আজ ফেভারিট। ২০১১ সালের পর এটাই ওদের সেরা দল। তবে পাকিস্তানও কমিয়ে এনেছে ব্যবধান। সুতরাং নিজেদের সেরা খেলাটাই খেলতে হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে।’

শাস্ত্রীর সঙ্গে একমত বিরাট কোহলিও, ‘আমার মনে হয় পাকিস্তানের শক্তি হলো বোলিং। ওদের দারুণ কিছু বোলার আছে। যাদের দক্ষতা আছে যেকোনো মুহূর্তে ম্যাচের ছবিটা বদলে দেওয়ার। পাকিস্তানের বিপক্ষে তাই নিজের সেরা ছন্দে থাকতে হবে।’

অর্থসংবাদ/এমআই

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

২০২৩ সালে বাংলাদেশের সেরা কারা?
সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েই বছর শেষ করলেন রোনালদো
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সাফল্যের হার ৭১ শতাংশ
ইতিহাস গড়া হলো না বাংলাদেশের
ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে বাংলাদেশের নাহিদা
বাংলাদেশ ম্যাচে কে এই নারী আম্পায়ার
সুখের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বেরসিক বৃষ্টির জয়
টাইগারদের আগামী বছরের কর্মসূচিতে নেই অস্ট্রেলিয়া-ইল্যাংন্ড
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন সোহান
২০২৬ বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা হতে পারে জানুয়ারিতে