বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা-চিকন সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৫২ টাকায় বিক্রি হওয়া মোটা চাল কেজিতে ৩ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে মোট চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়।
দাম বৃদ্ধির কথা স্বীকার করেছেন ব্যবসায়ীরা। মধ্যবাড্ডা বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে চালের দাম। মোটা-চিকন সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, তিনদিন আগে পাইজাম চাল বিক্রি করেছি ৫২ টাকা কেজিতে। আজকে বিক্রি করছি ৫৫ টাকা কেজি দরে। বিআর-২৮ চাল বিক্রি করছি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে।
দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আড়ত থেকে বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। তাই আমরাও বেশি দামে বিক্রি করছি। দাম বাড়াচ্ছে আড়তদাররা। আড়তদাররা বলছেন, ভারত সরকার চাল আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করায় দাম বেড়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিআর-২৮ চাল এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহে ৫২ থেকে ৫৮ টাকার মধ্যে ছিল। চিকন চালের মধ্যে মিনিকেট ৬৮ থেকে ৭০ টাকা ও নাজিরশাইল চাল ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের পাশাপাশি মসুর ডাল কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা এবং আলু প্রতি কেজি ৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। বলা হচ্ছে এ দুটি পণ্যের দাম বেড়েছে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায়।
বাজারগুলোতে গত সপ্তাহে খুচরায় প্রতি কেজি মোটা মসুর ডাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই ডালের কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০৫ টাকায়। মাঝারি দানার মসুর ডালের কেজি ৫ টাকা বেড়ে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় উঠেছে। আর সবচেয়ে ছোট দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকায়; যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি। আর আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা।
এ ছাড়া সবজির মধ্যে লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, গোল বেগুন বিক্রি হচছে ১২০ টাকা কেজি, মূলা ৫০, টমেটো ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০, চিচিঙ্গা ৪০, পেঁপে ৩০, কাঁচামরিচ ১২০, পটল ৬০, কচুরমুখী ৭০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকায়, প্রতি পিস লাউ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অর্থসংবাদ/এমআই