এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, দেশের আইন অঙ্গনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুবে আলমের অবদান জাতি সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, তিনি একজন প্রথিতযশা আইনজীবী হিসেবে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক আইনি বিষয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ভূমিকা রেখেছেন এবং সবসময় ন্যায়নিষ্ঠ থেকে আইনপেশায় নিয়োজিত ছিলেন, যা অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
তিনি বাংলাদেশের ১৩তম অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
জ্বর ও গলাব্যথা নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর সিএমএইচে ভর্তি হন রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা। ওইদিনই করোনা পরীক্ষা করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ১৮ সেপ্টেম্বর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মাহবুবে আলমকে আইসিইউতে নেয়া হয়।
২০ সেপ্টেম্বর করোনা (কোভিড-১৯) পরীক্ষায় তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তবে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রাখা হয় আইসিইউতে।
সুপ্রিম কোর্টের এ সিনিয়র আইনজীবী ১৯৭৫ সালে হাইকোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন। ১৯৯৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।
মাহবুবে আলম সুপ্রিম কোর্ট বারের ১৯৯৩-৯৪ সালে সম্পাদক ও ২০০৫-২০০৬ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।