আজ (২৭ সেপ্টেম্বর) ডিএসইর আইটি বিভাগের সমস্যা ও সমাধানের উপায় কি, তা জানানোর জন্য স্টক এক্সচেঞ্জটির বোর্ডকে কমিশন ডেকে পাঠিয়েছিল। এছাড়া কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সব কমিশনার ও তদন্ত কমিটির ৩জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
তদন্ত কমিটি ডিএসইর আইটি বিভাগে বিভিন্ন সমস্যা প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন। এর আলোকে তারা বেশ কিছু সুপারিশ করেছেন।
প্রেজেন্টেশনে ডিএসইর ওএমএস থেকে শুরু করে আইটি বিভাগের অদক্ষ জনবলসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা বলা হয়। যা দ্রুত ডিএসইকে সমাধানের জন্য কমিশন নির্দেশ দিয়েছে।
তদন্ত কমিটি জানায়, নতুন সফটওয়্যার চালুতে লেনদেনে সমস্যার ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত কোন ভুল বা অনিয়ম পাওয়া যায়নি। তবে ডিএসইর আইটি বিভাগের দূর্বলতা ও কাজ না বোঝার কারনে লেনদেনে ভোগান্তি হয়েছিল বলে জানায়। অন্যরা যা বুঝিয়ে দিয়ে যায়, ডিএসইর আইটি বিভাগ তাই করে। তবে কোন জালিয়াতি করেনি। জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও শিক্ষার ঘাটতির কারনে এমনটি হয়েছিল।
এর আগে গত ২৪ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমানকে আহবায়ক করে গঠিত কমিটি ১৪ সেপ্টেম্বর বিএসইসিকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়। ওই কমিটির সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও আইসিটি সেলের পরিচালক ড. মুহাম্মদ আসিফ হোসাইন খান, আইআইটি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল ইসলাম, বিএসইসির পরিচালক রাজিব আহমেদ, উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও সহকারি পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম।
গত ১৮ আগস্ট বিকালে আপডেট ভার্সনের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান। ওই উদ্বোধনের পরে ১৯ ও ২০ আগস্ট ভোগান্তিতে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। আপডেট সাইটটি খুব ব্যবহারবান্ধব ও রেসপনসিভ হবে বলে জানানো হলেও ওই দুই দিন ভোগান্তিতে পড়েন তারা। যে কারনে ২৩ আগস্ট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুঃখ প্রকাশ করে ডিএসই।