এখন এটা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে পাঠালে তা থেকে ১০ শতাংশ ডিসকাউন্টে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এই শেয়ার কিনতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ২১ সেপ্টেম্বর থেকে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রির বিডিং (নিলাম) চলে। এই বিডিংয়ে যোগ্য বিনিয়োগকারী’তথা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে তাদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ার বিক্রি করা হবে।
একইসঙ্গে নিলামে কোম্পানিটির শেয়ারের প্রান্ত-সীমা মূল্য (কাট অফ প্রাইস) নির্ধারণ করা হবে। যে দামে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত কোটার শেয়ার বিক্রি শেষ হবে, সেটি হবে শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস। এই কাট-অফ প্রাইসের চেয়ে ১০ শতাংশ কমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আইপিওতে শেয়ার বিক্রি করা হবে।
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে প্রতিষ্ঠানটি ১৫০কোটি টাকা উত্তোলনের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে কোম্পানিটি।
বিদ্যুৎ খাতের এই কোম্পানি উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি এলপিজি প্রকল্পের ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিওর ব্যয় নির্বাহ করবে।
গত ৬ আগস্ট পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটিকে যোগ্য বিনিয়োগকারী তথা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য নিলাম অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছে। বিএইসির ৭৩৪তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
কোম্পানিটির ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত সমন্বিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী যথাক্রমে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) দাঁড়িয়েছে ৪৫.১৫ টাকা এং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ব্যতিত) দাঁড়িয়েছে ৩০.২০ টাকায়। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৩.১৩ টাকা। আরো উল্লেখ্য, বিগত ৫টি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কর পরবর্তী নিট মুনাফার ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২.২১ টাকা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে লংকা বাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।