আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন। রাজধানীর মতিঝিলে সংগঠনটির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরীসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে মোস্তফা আজাদ চৌধুরী জানান, আলু উৎপাদন ও সংরক্ষণের বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি তথ্যে বড় ফারাক রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের জানামতে, দেশে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮৫ লাখ মেট্রিক টনের বেশি আলু উৎপন্ন হয়নি। অথচ বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে ১ কোটি ১২ লাখ টন আলু উৎপাদনের কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশে আলুর চাহিদা ৯০ লাখ টন। এ বিবেচনায় সরকারি হিসাবে তো আলু উদ্বৃত্ত থাকার কথা।
অন্যদিকে কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে হিমাগারগুলোতে ২৩ লাখ ১২ হাজার টন আলু সংরক্ষণ হয়েছে। অথচ কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্যে ২৪ লাখ ৯২ হাজার টন আলু সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, এ মৌসুমে দেশের হিমাগারগুলোতে ২০ শতাংশ সংরক্ষণের স্থান ফাঁকা রয়েছে। আলু যদি বেশি উৎপন্ন হয়ে থাকে, তাহলে ধারণক্ষমতার ২০ শতাংশ জায়গা কেন অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে? হিমাগার ফাঁকা থাকার কারণ, এ বছর আলুর উৎপাদন ও মজুত, উভয়ই কম হয়েছে।
এখনো যে পরিমাণে আলু মজুত রয়েছে, তা দিয়ে আগামী মৌসুমের (ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ) আগ পর্যন্ত আলুর কোনো সংকট হবে না বলে মনে করে কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন।
সমিতির সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী আরও বলেন, ২০২৩ সালের মে মাসের ২০ তারিখের পর থেকে যখন আলু খালাস হওয়া শুরু হয়, তখন হিমাগার শেডে কাঁচা আলুর মূল্য ছিল প্রতি কেজি ২৬-২৭ টাকা। এই দরেই প্রকারভেদে আলু বিক্রি শুরু হয়েছিল। তবে আজ পর্যন্ত সেই দাম (হিমাগার শেডে) বেড়ে ৩৪ থেকে ৩৬ টাকা হয়েছে; অর্থাৎ মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আলুর হিমাগার পর্যায়ে আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। এই মূল্যবৃদ্ধি ‘কাঙ্ক্ষিত নয়’ বলে মনে করছে হিমাগার সমিতি।
অর্থসংবাদ/এমআই