বর্তমানে আমদানি শুল্কের বকেয়া প্রায় ৭৬০ কোটি ৩০ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের আইনি জটিলতার কারণে ক্ষেত্র বিশেষে আমদানি শুল্ক অনাদায়ী হয়ে থাকে। পণ্যচালান খালাসের পর নিয়মিত নিবারণী তৎপরতার অংশ হিসেবে খালাসোত্তর নিরীক্ষা (পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিট) কার্যক্রম সম্পাদন করা হয় এবং এর মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে অনাদায়ী বকেয়ার উদ্ভব হয়। শুল্কায়ন সম্পন্ন হলেও সাময়িক অর্থ সংকটের কারণে অনেক সময় পণ্য চালান খালাস না নেওয়ায় আমদানি শুল্ক অনাদায়ী থেকে যায়।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমানের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ তথ্য জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আমদানির ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ে বিলম্বে পরিশোধের ভিত্তিতে পণ্য চালান খালাস নেওয়া হয়, পরবর্তীতে পণ্যচালান সংশ্লিষ্ট শুল্ক করাদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করলে সেক্ষেত্রে উক্ত চালানের আমদানি শুল্ক অনাদায়ী থেকে যায়। স্থানীয় ও রাজস্ব অডিট অধিদপ্তর কর্তৃক নিরীক্ষা ও সংশ্লিষ্ট কাস্টম হাউস/স্টেশন কর্তৃক পরবর্তী বিচারাদেশের মাধ্যমে ফাঁকিকৃত শুল্ক কর আদায়ের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয় বিধায় আমদানি পর্যায়ে বকেয়া উদঘাটিত হয়।
অনেক সময় আদালতে মামলা চলমান থাকায় আমদানি শুষ্ক অনাদায়ী থেকে যায় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আদায়ের ব্যাপারে গৃহীত পদক্ষেপ: দি কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এ উল্লিখিত বকেয়া আদায়ে বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করে অনাদায়ী শুল্ক আদায়ের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অনাদায়ী শুল্ক আদায়ের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের ফলে এ পর্যন্ত ৪ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা আদায় হয়েছে এবং অবশিষ্ট রাজস্ব আদায়ের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।