দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
দুধে থাকে প্রচুর ভিটামিন এ। এই ভিটামিন চোখের জন্য উপকারী। তাই সন্তানকে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খেতে দেবেন। শিশুর যদি সরাসরি দুধ খেলে অ্যালার্জির সমস্যা হয় তাহলে তাকে দই, পনির, ছানা খেতে দিতে পারেন। এ ধরনের খাবারে তার সমস্যা হবে না। পুষ্টি পাবে যথেষ্ট।
ফল ও শাক-সবজি
শিশুকে ফল ও শাক-সবজি নিয়মিত খেতে দিন। এ ধরনের খাবারে থাকে ভিটামিন ও উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শিশুর চোখের দৃষ্টি ভালো রাখার জন্য কাজ করে এ জাতীয় খাবার। অনেক শিশু ফল কিংবা শাক-সবজি খেতে চায় না। তাদের একই খাবার প্রতিদিন দেওয়া যাবে না। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দিলে এবং রেসিপিতে ভিন্নতা আনলে শিশু পছন্দ করে খাবে।
আমন্ড
অন্যতম উপকারী বাদাম হলে আমন্ড। বাংলায় একে কাঠবাদামও বলা হয়। এই বাদামে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে কাজ করে। সেইসঙ্গে এই বাদামে থাকে প্রচুর ভিটামিন ই। এটি চোখের জন্য ভীষণ উপকারী। চোখের নানা ধরনের সমস্যা দূর হবে নিয়মিত এই বাদাম খেলে। তাই শিশুকে প্রতিদিন অন্তত ৪-৫টি আমন্ড খেতে দিন।
মাছ
অনেক শিশু মাছ খেতে চায় না। তাদেরও মাছ খাওয়ার প্রতি আগ্রহী করতে হবে। কারণ নিয়মিত মাছ খেলে শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হয়। পাশাপাশি মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চোখ ভালো রাখতে দারুণ কার্যকরী। তাই শিশুকে নিয়মিত মাছ খেতে দিতে হবে। বিভিন্ন ধরনের ছোট মাছ, সামুদ্রিক মাছ এক্ষেত্রে বিশেষ উপকারী।
ডিম
শিশুর চোখ ভালো রাখার জন্য আরেকটি খাবার তাকে নিয়মিত খেতে দেবেন, সেটি হলো ডিম। এর কুসুমে থাকে প্রচুর লিউটিন। এটি চোখ ভালো রাখার কাজে অত্যন্ত কার্যকরী। ডিমের পাশাপাশি ডিম দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবারও তাকে খেতে দিন। এতে চোখ তো ভালো থাকবেই, সেইসঙ্গে শিশুর শরীরেও পর্যাপ্ত পুষ্টি পৌঁছাবে।
অর্থসংবাদ/এমআই