জার্মানি ও যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বাজারে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘কমনওয়েলথ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড ফোরাম ২০২৩’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও কমনওয়েলথ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রিন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভৌগলিক দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান তিনশ কোটি মানুষের বাজারের কেন্দ্রস্থল। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সচ্ছল জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি। জার্মানি ও যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বাজারে পরিণত হবে বাংলাদেশ।
সরকারপ্রধান বলেন, ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। সুচিন্তিত এবং পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকি। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতার আসার পর সকল উন্নয়নের কাজ থমকে যায়।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর আমরা দেশকে সুপরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাই। আমরা স্বল্প, মধ্যম এবং দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে দেশ গঠনের কাজে মনোনিবেশ করি। গণতান্ত্রিক পরিবেশ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সরকারের ধারাবাহিকতা এবং পরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মসূচি দ্রুত বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে।
গণতান্ত্রিক পরিবেশ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সরকারের ধারাবাহিকতা এবং সর্বোপরি পরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মসূচি দ্রুত বাংলাদেশের আর্ত্ম-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বিশ্বের ৫টি বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি বলেও জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সামরিক শাসনামলে বাংলাদেশের অর্থনীতি বন্ধ্যাত্বের কবলে পড়েছিলো৷ বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির পাঁচটি দেশের মধ্যে একটি৷ ২০৩৭ সালে আমরা বিশ্বের ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে। তিনি আরও বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে শক্তিশালী অর্থনীতি এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার৷ বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য সব খাত উন্মুক্ত; বিনিয়োগের প্রক্রিয়া সহজতর করা হয়েছে, যাতে বিদেশিরা এখানে বিনিয়োগ করে লভ্যাংশ তাদের দেশে নিয়ে যেতে পারে৷ হাইটেকপার্কগুলোতেও বিদেশি বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে৷ যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়নের ফলে পরিবহন সুবিধায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে৷
অর্থসংবাদ/এসএম